হেপাটাইটিসের প্রতিকারে ব্রাজিলের সঙ্গে ভারত
হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে দুনিয়াজুড়ে এই মুহূর্তে প্রায় ৫৫ কোটি মানুষ এই দুটি রোগে আক্রান্ত, যা তাদের মতে অন্যতম বিপজ্জনক স্বাস্থ্যসঙ্কট। ভারতেও এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। একই সমস্যা রয়েছে ব্রাজিলেও।
হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সি। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান বলছে দুনিয়াজুড়ে এই মুহূর্তে প্রায় ৫৫ কোটি মানুষ এই দুটি রোগে আক্রান্ত, যা তাদের মতে অন্যতম বিপজ্জনক স্বাস্থ্যসঙ্কট। ভারতেও এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। একই সমস্যা রয়েছে ব্রাজিলেও।যা তাদের মতে অন্যতম বিপজ্জনক স্বাস্থ্যসঙ্কট। ভারতেও এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। একই সমস্যা রয়েছে ব্রাজিলেও। বিশ্বকাপ ফুটবলকে সামনে রেখে এবার তাই এই দুটি রোগ প্রতিকারে মাঠে নামল এই ২ দেশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডব্লিউএইচও-র পরিসংখ্যান বলছে এই মুহূর্তে ভারতে হেপাটাইটিস বি এবং সি-এ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ কোটিরও বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের হিসেব অনুযায়ী, এ রাজ্যে ২০০৮ সালে হেপাটাইটিস বি এবং সি-এ আক্রান্ত নথিভুক্ত রোগীর সংখ্যা ৪২০৬। ২০০৯-এ সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫২৫।
২০১০-এ এই দুই রোগে এ রাজ্যে আক্রান্ত হন ৪৪৪০ জন। তবে এখন সংখ্যাটা কিছুটা কমের দিকেই। ২০১১ জানুয়ারি থেকে এখনো পর্যন্ত হেপাটাইটিস বি এবং সি-এ আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় দেড় হাজার জন।
ভারতের মতো একই সমস্যায় আক্রান্ত ব্রাজিলও। সেখানে এই দুটি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬০ লক্ষ। যার অর্থ, প্রতি ৩০ জন ব্রাজিলিয়ানের মধ্যে এক জন এই দুটি রোগের যে কোনও একটিতে। ২০১৪ ফুটবল বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তাই এ বার হেপাটাইটিস বি এবং সি নিরাময়ে একযোগে প্রচারে নামল এই দুটি দেশ। সচেতনতা বাড়াতে ব্রাজিলের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে কলকাতার লিভার ফাউন্ডেশন। প্রচার চালানো হবে হেপাটাইটিস বি এবং সি রোগে আক্রান্ত রোগী এবং চিকিত্সা বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে। এর পাশাপাশি, আগামী দু বছর রাজ্যের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানেরও পরিকল্পনা করছে লিভার ফাউন্ডেশন। থাকছে প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান। সেই সব প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৬ জনকে নিযে য়াওয়া হবে সাও পাওলোয়, বিশ্বকাপ ফুটবলের ম্যাচ দেখতে।