উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ, ভিন্ন দাবি কমিশনের
২০১৬ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ২০১৭ সালে পরীক্ষা হয়। ২০১৮ সালে পার্সোনালিটি টেস্ট নেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়।

অর্ণবাংশু নিয়োগী: উচ্চপ্রাথমিকে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। ৭৫০টি শূন্যপদে নিয়োগে না বিচারপতির। পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত পদক্ষেপে না বিচারপতির। আগামী পরশু পরবর্তী শুনানি। যদিও কমিশন জানিয়েছে, আজ তাদের অফিস বন্ধ, ফলে নিয়োগ পত্র দেওয়ার প্রশ্ন-ই নেই। নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারির পাশাপাশি, কীভাবে তৈরি হয়েছে ওয়েটিং লিস্ট? তাও জানতে চায় আদালত।
কর্মশিক্ষার শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২০১৬ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ২০১৭ সালে পরীক্ষা হয়। ২০১৮ সালে পার্সোনালিটি টেস্ট নেওয়া হয়। এরপর চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর অতিরিক্ত শূন্য পদ তৈরি করে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। তারপর চলতি বছরই ৩ নভেম্বর স্কুল সার্ভিস কমিশন নোটিস দিয়ে জানায় যে ১০ এবং ১১ নভেম্বর ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের কাউন্সেলিং হবে। তারপরই গোল বাঁধে। লিস্টে নিজের নাম না পেয়ে মামলা করেন সোমা রায় নামের এক প্রার্থী। তাঁর দাবি, তিনি ৭২ পেয়ে চাকরি না পেলেও ৫৬ পেয়ে অন্য ব্যক্তি চাকরি পেয়েছেন। তাঁর থেকে অন্তত আরও ৬০ জন কম নম্বর পেয়েছেন বলেও অভিযোগ। পরবর্তী শুনানিতে এই ৬০ জনকে নিয়ে অবস্থান জানাতে নির্দেশ কমিশনকে।
যদিও কমিশনের দাবি সম্পূর্ণ ভিন্ন। কমিশনের চেয়ারপারসনের দাবি, কোনও স্থগিতাদেশ নেই। তিনি বলেন, 'আমি এখনও রায়ের কপি দেখিনি। তবে আমাদের ও সরকারি আইনজীবীর থেকে যে খবরটা পেয়েছি, সেটা হল এই ব্যাপারে কোনও স্থগিতাদেশ বা কিছু নেই। আমাদের যে মেধাতালিকা প্রকাশিত হয়েছিল। তার একটা ব্যাখ্যা চেয়েছে আদালত। ১৭ তারিখ সেই ব্যাখ্যা সহ আমাদের উপস্থিত থাকতে হবে। ২৩৫ থেকে ৩০১ সিরিয়াল নম্বরে যাদের নাম আছে, তাদের ক্যাটেগরি, প্রাপ্ত নম্বর, নম্বরের ব্রেকআপ সহ আমাদের উপস্থিত থাকতে হবে। কাউন্সেলিং আমাদের হয়ে গিয়েছে। আদালতের নির্দেশের পরই পরবর্তী ধাপগুলি চলবে। কোনও স্থগিতাদেশের ব্যাপার নেই।'
আরও পড়ুন, Primary TET: পরীক্ষা দিয়ে প্রাথমিক টেট পাস করেছেন মমতা ব্যানার্জি, অমিত শাহ! সঙ্গে পুষ্পাও
ওদিকে এদিনই বিজ্ঞপ্তি জারি করে প্রাথমিকে আবেদনের সময়সীমা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে পর্ষদ। আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ২১ নভেম্বর করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রথমে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আবেদনের সময়সীমা ধার্য করেছিল ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত। সেই সময়সীমা-ই এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ২১ নভেম্বর করা হল। প্রসঙ্গত, প্রাথমিকে আবেদনের সময়সীমা যে বাড়তে চলেছে তার আভাস আগেই মিলেছিল। কালই পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছিল যে প্রাথমিকে আবেদনের সময়সীমা বাড়ছে। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যার জন্যই বাড়ানো হয়েছে সময়সীমা। এই মর্মে নয়া বিজ্ঞপ্তিও জারি করেছে পর্ষদ।