চুরি করা ফোন-ল্যাপটপ দাম দিয়ে কিনত রিসিভার নিজামউদ্দিন! চিরকুটের নাম্বারে পর্দাফাঁস চক্রের
চুরি করার পরই চোরের দল নির্দিষ্ট কাছাকাছি কোনও এসটিডি বুথের নাম্বার থেকে ফোন করত রিসিভার শেখ নিজামউদ্দিনকে। তাকে জানাতো এই এই জিনিস চুরি করতে পেরেছে। এরপরই...
সৌমেন ভট্টাচার্য: জানলার পাশে রাখা মোবাইল, ল্যাপটপ হঠাৎ উধাও। দীর্ঘদিন ধরে এই ঘটনা ঘটছিল লেকটাউন বাঙুর অঞ্চলে। মোবাইল চুরির ঘটনায় দিন দিন উদ্বেগ বাড়ছিল লেকটাউন থানার পুলিসের। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে সূত্র মারফত খবর পেয়ে লেকটাউন থানার পুলিস লেকটাউন লন্ডন ব্রিজ মোড়ের কাছে নাকা চেকিং শুরু করে। সেইসময়ই ধরা পড়ে চুরিচক্রের সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি। ধৃতের নাম মহম্মদ নিজামউদ্দিন ওরফে টিংকু। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৬টি মোবাইল ফোন।
লেকটাউনে গ্রেফতার শেখ মহম্মদ নিজামউদ্দিন আসলে চোরদের রিসিভার। লেকটাউন থেকে শুরু করে দক্ষিণদাঁড়ি এবং বেলগাছিয়া অঞ্চলে যে সমস্ত চোরের দল চুরি করত, তাদের পকেটে চিরকুটের মাধ্যমে নাম্বার থাকত রিসিভার শেখ নিজামউদ্দিনের নাম। চুরি করার পরই চোরের দল নির্দিষ্ট কাছাকাছি কোনও এসটিডি বুথের নাম্বার থেকে ফোন করত রিসিভার শেখ নিজামউদ্দিনকে। তাকে জানাতো এই এই জিনিস চুরি করতে পেরেছে। এরপরই শেখ নিজামউদ্দিন তাদের একটি জায়গা বলে দিত। সেখানে চলে আসত সেই চোরের দল এবং তাদের কাছ থেকেই চুরি করা সমস্ত জিনিস টাকা দিয়ে কিনে নিত শেখ নিজামউদ্দিন।
লেকটাউন এলাকায় একাধিক চুরির ঘটনায় তদন্ত নামে লেকটাউন থানার পুলিস। তদন্তে নেমে ৩ জন চোরকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই এই রিসিভার শেখ নিজামউদ্দিনের নাম উঠে আসে। শেখ নিজামউদ্দিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস জানতে পেরেছে সে এই সমস্ত মাল সৌদি আরব না হলে বাংলাদেশে পাচার করে দিত। পুলিস মনে করছে আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের সঙ্গে এই ধৃত নিজামউদ্দিনের যোগসূত্র আছে।
আরও পড়ুন, Baruipur: মেলেনি পণ-যৌতুক, ফাঁকা বাড়িতে নাবালিকা বউমার সঙ্গে জোর করে যৌনতা শ্বশুরের!