তিন রাজ্য জয়ের পরও কল্কে পাচ্ছে না কংগ্রেস! সংখ্যার বিচারে ভারী মমতা-অখিলেশরা
৩ রাজ্যের ভোটে একার লড়াইয়ে বাজিমাত করলেও লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের দাদাগিরি চলবে না, বুঝিয়ে দিয়েছেন অখিলেশ-মায়াবতী।
কমলিকা সেনগুপ্ত
বিরোধী জোটের মেগা শো। মোদী হঠাওয়ের ডাক। শুধু তাই নয়, শনিবারের বারবেলার ব্রিগেড ব্রিগেড থেকে বার্তা যাবে কংগ্রেসের কাছেও। মমতার মঞ্চে সামিল হতে চলেছেন ২২জন হেভিওয়েট বিরোধী নেতা। তাঁদের হাতেই অধিকাংশ লোকসভা আসন। সংখ্যাই বলে দিচ্ছে মহাজোটে শুধুমাত্র কংগ্রেসের কথায় কিছু হবে না। অবস্থা বুঝে ব্রিগেড সভার সমর্থনে মমতাকে লিখিত বার্তা দিয়েছেন রাহুলও।
৩ রাজ্যের ভোটে একার লড়াইয়ে বাজিমাত করলেও লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের দাদাগিরি চলবে না, বুঝিয়ে দিয়েছেন অখিলেশ-মায়াবতী। শনিবারের ব্রিগেড দিতে চলেছে আরও স্পষ্ট বার্তা। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে, আঞ্চলিক দলগুলির কথা শুনেই চলতে হবে কংগ্রেসকে। উত্তর থেকে দক্ষিণ। প্রায় সব বিরোধী দলের নেতাই শনিবার ব্রিগেডে থাকবেন। দেশের অধিকাংশ লোকসভা আসনে বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁরাই প্রধান শক্তি। সে তুলনায় অনেক পিছিয়ে একা কংগ্রেস।
৬ লোকসভা আসনের জম্মু-কাশ্মীরে আবদুল্লা পরিবারের দিকে তাকিয়ে রাহুল গান্ধীর দল।
৭ লোকসভা আসনের দিল্লিতে কেজরিওয়ালকে ছাড়া গতি নেই তাদের।
৮০ আসনের উত্তরপ্রদেশে অখিলেশ-মায়াবতীর তুলনায় রাহুল নেহাতই প্রান্তিক শক্তি।
৪০ লোকসভা আসনের বিহারে আরজেডির দিকেই তাকিয়ে কংগ্রেস।
১৪ লোকসভা আসনের ঝাড়খণ্ডে অন্য বিরোধীদের তুলনায় কংগ্রেস অনেক পিছিয়ে।
বাংলার প্রায় সব লোকসভা আসনেই একক শক্তির বিচারে সবার আগে তৃণমূল।
৪৮ লোকসভা আসনের মহারাষ্ট্রে শরদ পওয়ারের দিকে তাকিয়ে কংগ্রেস।
২৫ লোকসভা আসনের অন্ধ্রপ্রদেশে চন্দ্রবাবু নায়ডুর দিকে তাকিয়ে তারা।
৩৯ লোকসভা আসনের তামিলনাড়ুতে বিরোধী জোটে ডিএমকেই বড় শরিক।
সব মিলিয়ে ৯ রাজ্যে ৩০১টি লোকসভা আসনে অ-কংগ্রেসি দলগুলিই শক্তিশালী।
কেসিআর এবং নবীন পট্টনায়েক ভোটের পর কোনদিকে যাবেন তা স্পষ্ট নয়। কর্নাটকে কংগ্রেস-জেডিএসের মধ্যে বিরোধী আসন ভাগাভাগি হয়ে যাবে। বামেরা মমতার মঞ্চে না থাকলেও কেরলে কংগ্রেসের সঙ্গেই তাদের প্রধান লড়াই।
পঞ্জাবে ১৩, হরিয়ানায় ১০, হিমাচলে ৪, উত্তরাখণ্ডে ৫, ছত্তিসগড়ে ১১, মধ্যপ্রদেশে ২৯, গুজরাটে ২৬ এবং রাজস্থানে ২৫। এই ৮ রাজ্যের মাত্র ১২৩টি আসনে বিজেপির সঙ্গে কংগ্রেসের মুখোমুখি লড়াই, যা অন্য বিরোধীদের শক্তির তিন ভাগের এক ভাগ মাত্র।
অন্য বিরোধী দলের শক্তি বেশি এমন রাজ্যগুলি থেকে রাহুল গান্ধী কয়েকটি আসনে জয়ী হলেও বিরোধীদের সম্মিলিত আসনের চেয়ে তা অনেক কম থাকবে। তাই ব্রিগেড থেকে অঙ্কের এই হিসাবেই বার্তা যাবে কংগ্রেসের ঘরে। যা বুঝেই ব্রিগেডের আগের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাহুল গান্ধী লিখেছেন, আদর্শ রক্ষায় ঐতিহাসিকভাবে সামনের সারিতে থাকা বাংলার মানুষকে তাঁরা অভিনন্দন জানাচ্ছেন। মমতার ব্রিগেডকে সমর্থন জানিয়ে রাহুলের মন্তব্য, সবাই মিলে দেশের জন্য শক্তিশালী বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। বিধানভবন না চাইলেও ব্রিগেডে রাহুলের প্রতিনিধি হিসাবে থাকছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। দাদা হতে না পারলেও জোটের সঙ্গে তো জুড়ে থাকতে হবে, বলছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- কানহাইয়াদের আড়াল করতে চেয়েছিলেন অভিযুক্তরা? কীভাবে বেরিয়ে আসল সত্যি?