বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মনোনয়ন জটিলতা ভুল না কৌশল, উঠছে প্রশ্ন
ওয়েব ডেস্ক: রাজ্যসভার ষষ্ঠ আসনে বাম প্রার্থী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মনোনয়ন নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। মনোনয়ন বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে। কাল স্ক্রুটিনির পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
শুক্রবার বিকেল ৩টে পর্যন্ত মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার সময় ছিল। তার ৫ মিনিট আগে বিধানসভায় হাজির হন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। শুক্রবার, বামেদের তরফে রাজ্যসভার ষষ্ঠ আসনে মনোনয়ন জমা দেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বিকেল ৩টেয় সময়সীমা শেষ হওয়ার ঠিক আগে ২টো ৪৮ মিনিটে বিধানসভায় রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌছন তিনি। জমা দেন অতিরিক্ত হলফনামা-সহ যাবতীয় নথি।
রিটার্নিং অফিসার বাম নেতাদের জানান, বিকেল ৩টের পর বিকাশের অতিরিক্ত হলফনামা হাতে পান তিনি। যদিও, বাম নেতাদের দাবি, ২টো ৫৮ মিনিটে তাঁরা জমা দেন অতিরিক্ত হলফনামা। সমস্যা তৈরি হওয়ায় খবর যায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের অফিসে। সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার রিটার্নিং অফিসারের ওপরই ছেড়ে দেওয়া হয়। রাতে সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব-দের ডেকে রিটার্নিং অফিসার জানিয়ে দেন, সময়ের পর জমা পড়ায় বিকাশের অতিরিক্ত হলফনামা গ্রহণ করা হচ্ছে না।
অতিরিক্ত হলফনামা গৃহীত না হওয়ায়, স্ক্রুটিনির পর যদি মনোনয়নই বাতিল হয়ে যায় তাহলে আইনি পদক্ষেপের কথা বলছে সিপিএম।
রাজ্যসভার ষষ্ঠ আসনে কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্যকে সমর্থনের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিস্থিতিতে বাম প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের সম্ভাবনা। প্রশ্ন উঠছে, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য একেবারে শেষ মুহূর্তে কেন মনোনয়ন জমা দিতে গেলেন? CPM-এর মতো দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক দল, বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের মতো অভিজ্ঞ আইনজীবী থাকা সত্ত্বেও ভুলের জায়গা তৈরি হল কী করে? বিকাশের মনোনয়ন বাতিল হলে আর ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না। ফলে, গোটা ঘটনার পিছনে কোনও কৌশল আছে কিনা এখন তা নিয়েই জল্পনা রাজনৈতিক মহলে।