ভোট বদলায়, বদলায় না ইস্যু, পুরভোটের তরজাতেও বিষয় সন্ত্রাস আর কেন্দ্রীয় বাহিনী
ভোট বদলায়। ইস্যু বদলায় না। পঞ্চায়েত ভোটে যা নিয়ে বিতর্ক, পুরভোটেও ইস্যু সেটাই। সেই সন্ত্রাস, সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তরজা। আর এই বাকযুদ্ধে কোথাও যেন চাপা পড়ে যাচ্ছে পুরসভাকে ঘিরে মানুষের দাবি দাওয়া।
ব্যুরো: ভোট বদলায়। ইস্যু বদলায় না। পঞ্চায়েত ভোটে যা নিয়ে বিতর্ক, পুরভোটেও ইস্যু সেটাই। সেই সন্ত্রাস, সেই কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে তরজা। আর এই বাকযুদ্ধে কোথাও যেন চাপা পড়ে যাচ্ছে পুরসভাকে ঘিরে মানুষের দাবি দাওয়া।
প্রচারে, স্লোগানে ব্যস্ত বিভিন্ন মহল্লা। বাতাসে আবার ভোট ভোট গন্ধ। দেশের অন্যত্র পুরসভা বা পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে এমন উত্তেজনা নেই। এখানে পরিস্থিতি আলাদা।
পশ্চিমবঙ্গ সেই রাজ্য যেখানে দলীয় পোস্টার, ফেস্টুন, দেওয়াল লিখনকে বাঁচাতে রাত পাহারায় বসেন বিরোধী দলেন প্রথম সারির নেতা। আবার দিন পাঁচেক পরে তাঁর বিরুদ্ধেই ওঠে শাসকদলের পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ।
এরাজ্যে কাছের লোককে ছাড়িয়ে আনতে চাঁপদানির পুলিস ফাঁড়িতে আক্রমণ করেন খোদ তৃণমূল কাউন্সিলর। অভিযুক্ত প্রকাশ্যে সাংবাদিক বৈঠক করলেও, তাঁর নাগাল পায় না পুলিস।
এরাজ্যে ভোটের আগেই ঘোষণা হয়ে যায় ফলাফল। বিরোধীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার বিনা বাধায়, আরামবাগ, গয়েশপুর ও তারকেশ্বর পুরসভার দখল নেয় শাসকদল। ওঠে সন্ত্রাসের অভিযোগ। ফুত্কারে তা উড়িয়ে দেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
তবে কি শাসকই সন্ত্রাসে সিলমোহর দিচ্ছে?
তাই কি কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলে বসেন, প্রয়োজনে প্রশাসনের মদত নিয়ে ভোটে জিতবেন?
প্রশ্ন উঠছে, এই পরিস্থিতিতে কি আদৌ নির্বিঘ্নে ভোট করানো সম্ভব? পুলিসই নিজেই যেখানে আক্রান্ত, সেখানে তারা ভোটে নিরাপদে ভোট করাবে কী করে? কেন্দ্রীয় বাহিনীর অনুপস্থিতিতে কি সন্ত্রাসই ভোটের ভবিতব্য?
এই তরজাতেই কোথায় যেন হারিয়ে যায় নগরায়ন, পুর পরিষেবা, পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থার মতো ইস্যুগুলি। নাগরিক অধিকারকে পিছনে ফেলে তরজা চলে সন্ত্রাস আর কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েই। আর তারমধ্যেই প্রায় নিশ্চিত করে বলে দেওয়া যায়, এই পরিস্থিতিতে আর যাই হোক, সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়।