Jadavpur Student Death: বাঁচানো গেল না স্বপ্নদীপকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু পড়ুয়ার
Jadavpur Student Death:ঠিক কীভাবে হস্টেল থেকে পড়ে স্বপ্নদীপের মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। এনিয়ে যাদবপুর থানায় একচি অস্বাভাবিক মৃত্যু অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে যদি কোনও ফাউল প্লে থাকে তাহলে তা কী সেটাই খতিয়ে দেখছে পুলিস
অয়ন ঘোষাল ও শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: বাঁচানো গেল না স্বপ্নদীপ কুন্ডুকে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলের তিনতলা থেকে পড়ে মৃত্যু হল প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রের। বাংলা বিভাগের ওই ছাত্রের বাড়ি নদিয়ার বগুলায়। বাংলা বিভাগে ভর্তি হয়েছিল মাত্রা দুদিন আগেই। গতকাল ক্লাস থাকলেও ক্লাস যায়নি স্বপ্নদীপ। কীভাবে এমন ঘটনা তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে।
আরও পড়ুন-ফের খুন খড়গ্রামে! এবার প্রাণ গেল পঞ্চায়েতে জয়ী প্রার্থীর ছেলের...
গতকাল হোস্টেলের এ ব্লকের তিনতলা থেকে পড়ে যায় স্বপ্নদীপ। অত্যন্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয় কেপিসি মেডিক্য়াল কলেজে। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। এই মৃত্যুর পেছনে র্যাগিংয়ের কোনও ঘটনা জড়িয়ে রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
ঠিক কীভাবে হস্টেল থেকে পড়ে স্বপ্নদীপের মৃত্যু হল তা নিয়ে তদন্ত হচ্ছে । এনিয়ে যাদবপুর থানায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যু অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই ঘটনার পেছনে যদি কোনও ফাউল প্লে থাকে তাহলে তা কী সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
হস্টেলে রাতের খাবার দেওয়া হয় সাড়ে আটটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত। ঘটনা ঘটছে তার পরে। খাবার পরে স্বপ্নদীপ একাই ছাদে উঠেছিল? কারা তাকে ছাদে উঠতে দেখেছিল? নাকি সঙ্গে অন্য কেউ ছিল? এসব তদন্ত করে দেখছে পুলিস। তবে সমস্যার বিষয় হল ছাত্রাবাসে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। ফলে পুলিসকে নির্ভর করতে হবে ছাত্রাবাসের আবাসিকদের বয়ানের উপরে। গোটা ঘটনার সঙ্গে র্যাগিংয়ের বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া যা না। তবে আবাসিকরা বলছেন গত ৪ বছর হস্টেলে কোনও র্যাগিংয়ের বিষয় নেই।
ঘটনার পরই যাদবপুর থানার তরফে হস্টেলে যোগাযোগ করা হয়। স্বপ্নদীপের ঠিকানো জোগাড় করে তার বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। সেই খবর পেয়ে হাসপাতালে চলে আসেন স্বপ্নদীপের বাবা ও মামা। স্বপ্নদীপের বাবার সঙ্গে কথা বলেছে পুলিস।
এদিকে, এই মৃত্য়ুকে ঘিরে বেশ কিছু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। স্বপ্নদীপ হস্টেলের বোর্ডার নয়। বন্ধুদের সঙ্গে সে গত ২ দিন হস্টেলে থাকছিল। বুধবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিরে সে বাড়িতে জানায় হস্টেলের পরিবেশ ভালো লাগেছে। কিন্তু গতকাল সে পরিবারের লোকজনকে জানায় হস্টেলে তার কিছু সমস্যা হচ্ছে তাকে যেন নিয়ে যাওয়া হয়। হস্টেলে তার থাকতে ভালো লাগছে না। স্বপ্নদীপের ওই বক্তব্যের পর একটা সন্দেহ তৈরি হয়ে যায়। সন্দেহ তৈরি হচ্ছে ওই ঘটনার সঙ্গে কি কোনও র্যাগিংয়ের যোগ রয়েছে?
ময়না তদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি পুলিসের। তার পরেই সম্ভবত হস্টেলের পড়ুয়াদের জিজ্ঞাসবাদ করতে পারে পুলিস। ছাত্রাবাসে কোনও সিসিটিভি নেই। তাই তদন্ত আরও শক্ত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কাদের সঙ্গে স্বপ্নদীপ হস্টেলের ছাদে উঠেছিল তা জানা যেতে পারে একমাত্র হস্টেলের আবাসিকদের কাছ থেকেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিনের ক্লাসে যায়নি স্বপ্নদীপ। কেন সে অনুপস্থিত ছিল, তার পেছনে কি বিশেষ কোনও কারণ ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মৃত ছাত্রের শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সেই আঘাতের কোনটা কত পুরনো তা বেরিয়ে আসবে ময়না তদন্তের পরই। এখন ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ার আগের আঘাত যদি পাওয়া যায় তাহলেই প্রশ্ন উঠবে সেই আঘাতের কারণ কী? তদন্তের সবটাই নির্ভর করছে ময়না তদন্তের রিপোর্টের উপরে।