জিতল যাদবপুর! প্রবেশিকা থাকছেই
প্রবেশিকা প্রত্যাহার নাকি নম্বরের ভিত্তিতেই ভিত্তিতে তা নিয়ে মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠকের প্রথমার্ধে কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাত দিনের লড়াই, অনশন, বিক্ষোভ। অবশেষে যাদবপুরে আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীদের দাবি মানতে বাধ্য হল কর্তৃপক্ষ। যাদবপুরে ফিরছে প্রবেশিকা পরীক্ষা। মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
শুধু প্রবেশিকা পরীক্ষাই নয়, উচ্চ মাধ্যমিক বা সমতুল্য পরীক্ষায় মোট প্রাপ্ত নম্বর ও বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরও দেখা হবে৷ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ উপাচার্য প্রদীপ কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, বোর্ডের পরীক্ষার ৫০ শতাংশ ও প্রবেশিকার ৫০ শতাংশ নম্বরের ভিত্তিতে কলা বিভাগের ছ’টি বিষয়ে মেধাতালিকা তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: জরায়ুতে লুকিয়ে টিস্যু পেপার-সুতো, মিলল না মাদক
প্রবেশিকা প্রত্যাহার না কি বোর্ডের পরীক্ষার নম্বরই চূড়ান্ত, তা নিয়ে মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠকের প্রথমার্ধে কোনও রফাসূত্র বেরোয়নি। পরে প্রবেশিকা ফেরানোর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে প্রবেশিকায় পাশ করতে হয়। কিন্তু বাংলা ও ইতিহাসের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। এই দুটি বিষয়ে পড়ুয়াদের কোনও প্রবেশিকা পরীক্ষা দিতে হয় না৷ এ বছর কলা বিভাগের প্রবেশিকা পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল ৩ থেকে ৬ জুলাই-এর মধ্যে৷ কিন্তু, সোমবার আইনি জটিলতার কারণ দেখিয়ে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ৷ জারি করা হয় নোটিসও৷ আর এতেই ক্ষুব্ধ হন পড়ুয়ারা৷ প্রবেশিকা ফেরানোর দাবিতে টানা ৭ দিন ধরে অনশন আন্দোলন করেন তাঁরা। এরই মধ্যে রাজ্যপাল, শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস।
মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ল্যাপটপও কর্তৃপক্ষকে ফিরিয়ে দেন উপাচার্য। এ ঘটনা কী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্যের বিদায়ের ইঙ্গিত? এনিয়েও জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। এরপরই কর্মসমিতির বৈঠকে প্রবেশিকা ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।