ভবানীপুরে ৩ হাজারের ব্যবধান ঘুচিয়ে নেত্রীকে চেকমেট দিতে ঝাঁপাল BJP

অঞ্জন রায়

Reported By: অঞ্জন রায় | Updated By: Dec 9, 2020, 09:09 PM IST
ভবানীপুরে ৩ হাজারের ব্যবধান ঘুচিয়ে নেত্রীকে চেকমেট দিতে ঝাঁপাল BJP

অঞ্জন রায়

মমতার গড়েই তৃণমূল নেত্রীকে মাত দিতে মরিয়া বিজেপি। নজিরবিহীনভাবে বুধবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে চা চক্রে সামিল হলেন জেপি নাড্ডা। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি তাঁর অভীপ্সা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। নাড্ডার নির্দেশ, এমন জনসংযোগ করুন যাতে মমতাকে এই কেন্দ্র নিয়ে ভাবতে হয়।         

বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির চলতি বাংলা সফর বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। বুধবার বিকেলে ভবানীপুরে 'আর নয় অন্যায়' কর্মসূচি সারলেন। বেছে নিলেন বস্তিবাসীদের। বিজেপির বক্তব্য, বার্তা একটাই, মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রেই উন্নয়ন হয়নি। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার নাড্ডার গন্তব্য ডায়মন্ড হারবার। ভবানীপুর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এই দুই কেন্দ্রকে বাছার নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ সুদূরপ্রসারী বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। অনেকেই মনে করছেন, শত্রুর ঘরে ঢুকে আক্রমণের রণনীতি সাজিয়েছে গেরুয়া শিবির। 

মমতাকে চাপে ফেলার যে কৌশল নিয়েছে বিজেপি, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে নাড্ডার চা চক্রে। কার্যত বেনজিরভাবে একটি বিধানসভা কেন্দ্রের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। ওই বৈঠকে রাজ্যস্তরের নেতারা থাকলেও স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে তাঁর বৈঠক আলাদা করে নজর কেড়েছে। বৈঠকে নাড্ডা নির্দেশ দেন,'বাড়ি বাড়ি অভিযান করুন। মানুষের অভাব-অভিযোগ শুনুন। এমনভাবে মানুষের কাছে পৌঁছন, যাতে মমতাকে নিজের কেন্দ্র নিয়ে ভাবতে হয়।'                   

কেন ভবানীপুর নিয়ে এত আগ্রহ নাড্ডা-শাহের? গত লোকসভা ভোটের নিরিখে পরিসংখ্যান বলছে, ভবানীপুরে তৃণমূল পেয়েছে ৬১, ১৩৭ ভোট। ৫৭,৯৬৯ ভোট পেয়েছিল বিজেপি। ভোটের ফারাক মাত্র ৩ হাজার ১৬৮। ভবানীপুরে প্রচুর হিন্দিভাষী ভোটার। এর পাশাপাশি সংখ্যালঘু ভোট অনেকটাই কম। এই পরিসংখ্যানই উজ্জীবিত করেছে রাজ্য বিজেপিকে। মমতাকে তাঁর গড়েই বিঁধতে চাইছে তারা। 

শুভেন্দু পর্বে তৃণমূল প্রচার করছে,তৃণমূলের মুখ একটাই, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বিধানসভা ভোটের প্রচারে নেত্রী নিজেই ঘোষণা করেছিলেন, ২৯৪টি কেন্দ্রে তিনিই প্রার্থী। অস্বীকার করার জায়গা নেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত ক্যারিশ্মতাতেই তৃণমূল আজ রাজ্যের ক্ষমতায়। ফলে মমতাকে মাত দেওয়া মানেই তো চেকমেট!

আরও পড়ুন- 'বিহারের কথা ভাবুন, বাংলাতেও ২০০-র বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি'      

.