জেলের ভিতরেও দুর্নীতি, ফুটবল টুর্নামেন্টে দল তৈরিতে খেলোয়াড়ের বেচাকেনায় উড়ছে টাকা
বন্দিদের সামজিক উন্নয়নে ফুটবল টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টেই টিম বাছাই নিয়ে সরগরম আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। খেলাই হয়ে উঠছে দুর্নীতির আতুরঘর। জেলের ভিতরই চলছে খেলায়াড় বেচাকেনা। নিয়ম ভেঙে অন্য জেল থেকে খেলোয়াড় আনতে অনৈতিক ভাবে খুশি করা হচ্ছে কারাকর্তাদের। সৌজন্যে দুই হাইপ্রোফাইল বন্দি। সজল বারুই-গোপাল তিওয়ারি।
ওয়েব ডেস্ক: বন্দিদের সামজিক উন্নয়নে ফুটবল টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টেই টিম বাছাই নিয়ে সরগরম আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার। খেলাই হয়ে উঠছে দুর্নীতির আতুরঘর। জেলের ভিতরই চলছে খেলায়াড় বেচাকেনা। নিয়ম ভেঙে অন্য জেল থেকে খেলোয়াড় আনতে অনৈতিক ভাবে খুশি করা হচ্ছে কারাকর্তাদের। সৌজন্যে দুই হাইপ্রোফাইল বন্দি। সজল বারুই-গোপাল তিওয়ারি।
৬ টি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগের ফুটবল টুর্নামেন্ট বিবেক কাপ। সেরা ফুটবলারদের বেছে তৈরি হয় সংশোধনাগার টিম। পরে বাইরের টুর্নামেন্টে অংশ নেন তাঁরা। প্রশিক্ষণ দেয় ফুটবল লাভার্স অ্যাসোসিয়েশন।
১লা আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে দল বাছাইয়ের টুর্নামেন্ট। রাউন্ড রবিন পর্বে অংশ নেবে ৬টি দল। এরমধ্যে দুটি দল বিচারাধীন বন্দিদের। দুটি দল সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের। এবং দুটি দল কারাকর্মীদের।
আর এই নিয়েই লড়াইয়ের ময়দানেই দুই হাই প্রোফালইল বন্দি। সজল বারুই আর গোপাল তিওয়ারি। সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের দল দুটির স্পনসর সেই নয়ের দশক থেকে জেলে থাকা সজল। আর বিচারাধীনদের হয়ে ময়দানে নেমেছেন সদ্য জেলে ঢোকা গোপাল তিওয়ারি। রক্তদান-ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজন বাইরে অনেক করেছেন। জেলেও সেই ধারা বজায় রাখছেন জোড়াসাঁকো কাণ্ডে ধৃত গোপাল। সেরা টিম তৈরি করতে রীতিমতো চলছে ফুটবলার অকশন। ভাল ফুটবলার দলে টানতে দেওয়া হচ্ছে টাকার টোপ। এমনকি অন্য জেলের ফুটবলারকে ভাঙিয়ে আনার চেষ্টাও হচ্ছে ।
দমদম জেলের স্টার গোল কিপার রবিকে টিমে আনতে চান সজল। তার জন্য যে কোনও মূল্যে রবির জেল পরিবর্তন করাতেও রাজি সে। অভিযোগ এর জন্য কারাকর্তাদের খুশি করতেও মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সজল।
এতদিন শুধু টাকা উড়ত আইএসএল, আইপিএলে। পিছিয়ে নেই বিবেক কাপও। যে মাত্রায় এখানেও টাকা উড়ছে, তাতে বলাই যায় কারাগারে শুরু হয়ে গিয়েছে জেএসএল।