July 21 TMC Shahid Diwas: একুশে জুলাইয়ের সভায় কি থাকছে কোনও চমক, খোলসা করলেন অভিষেক
অভিষেক বলেন, একুশে জুলাইকে নিয়ে আমাদের কর্মীদের মধ্যে একটা আবেগ কাজ করে। এবার একুশে জুলাইয়ের সভায় জনসমাগম সর্বকালের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে।
প্রবীর চক্রবর্তী ও শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: টানা দুবছর পর ফের একুশের সমাবেশ। মানুষের আবেগ রয়েছে। আগের সমাবেশগুলির থেকে বেশি মানুষের সমাবেশ হবে বলে দাবি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এবার একুশের সভায় কী কোনও চমক থাকছে, কোনও যোগদান?
বুধবার ধর্মতলায় সমাবেশের প্রস্তুতি দেখতে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এনিয়ে বলেন, চমক মানেই কি যোগদান? রাত পোহালেই দেখতে পাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা বলবেন সেটাই তো চমক! উনি যা বলবেন সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
হঠাত্ কেন যোগদান প্রসঙ্গ? সম্প্রতি বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায় সাক্ষাত করেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে। বিজেপির সাম্প্রতিক বহু সভাতেও তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। ফলে একটা জল্পনা ছিল, রূপা কি শেষ পর্যন্ত কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন? ওই সাক্ষাত নিয়ে সব রাজনৈতিক জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, একেবারেই সৌজন্য সাক্ষাত। কিন্তু তাতেও জল্পনা থামেনি।
এদিকে, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভা। তার আগে থেকেই দূরের জেলাগুলি থেকে কাতারে কাতারে তৃণমূল সমর্থক ঢুকছে কলকাতায়। এদের থাকার ব্যবস্থা হয়েছে গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, সেন্ট্রাল পার্ক-সহ কলকাতার একাধিক জায়গায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে এবার একুশের সমাবেশ।
বুধবার ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে তৃণমূল সমর্থকদের ক্যাম্পে আসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সেখানে তিনি বলেন, এবার যত লোক আসবে ভেবেছিলাম তার থেকেও বেশি লোক এসেছেন। দূরদূরান্ত থেকে বিশেষ করে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, দুই দিনাজপুর, পুরুলিয়া বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রামে থেকে বহু মানুষ এসেছেন। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম ও সেন্ট্রাল পার্ক ছাড়াও আমাদের আরও অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। শেষবার যখন ব্রিগেড করেছিলাম তখন ৪৫-৫০ হাজার মানুষের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। এবার ইতিমধ্যেই এই বিকেল চারটের মধ্য়ে ৭৫ হাজার লোক ঢুকে গিয়েছে। অধিকাংশ অস্থায়ী ক্যাম্প ভরে গিয়েছে। এর মধ্য়েও যাতে কোভিড প্রটোকল মেনে মানুষ থাকেন তার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে। এছাড়া জরুরি পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য়ে চিকিত্সকের ক্যাম্প বসানো হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্সও রাখা হয়েছে।
কেন এত মানুষ আসবেন বলে অনুমান? অভিষেক বলেন, একুশে জুলাইকে নিয়ে আমাদের কর্মীদের মধ্যে একটা আবেগ কাজ করে। এবার একুশে জুলাইয়ের সভায় জনসমাগম সর্বকালের রেকর্ডকে ছাপিয়ে যাবে। তার করাণ ২০২০ ও ২০২১ সালে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ করতে পারিনি। তাই এবার একটা বাড়তি উত্সাহ রয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। জেলা থেকে মানুষজন আসছেন তৃণমূল নেত্রীর কথা শুনতে। তার সঙ্গে বাংলায় শান্তি-সম্প্রীতি বজায় রেখে আমরা বিভেদকামী শক্তিকে পরাজিত করতে কী করব তা তৃণমূল নেত্রীর কাছ থেকে আমরা শুনব। এবার কর্মী সমর্থকদের মধ্য়ে যে উত্সাহ লক্ষ্য করেছি তা খুবই উত্সাহের। ভিড় বেড়েছে তাই আরও কয়েকটি অস্থায়ী ক্য়াম্প তৈরি করার চেষ্টা হচ্ছে। পুরসভার কয়েকটি কমিউনিটি হলেও কর্মী সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ধর্মতালায় সভাস্থল পরির্দশনে গিয়ে অভিষেক বলেন, আফসোস হচ্ছে এই সভাটা ধর্মতলায় না করে ব্রিগেডে করতে পারলে আরও বহু মানুষকে জায়গা করে দিতে পারতাম। আমরা এবার বলেছিলাম উত্তরবঙ্গ থেকে যেন বেশি লোক আসে তার ব্যবস্থা করতে হবে। আশা করছি আজ রাতের মধ্যে ১ লাখ মানুষ কলকাতায় ঢুকবে। কাল আরও মানুষ হবে। সবেমিলিয়ে এক দশমাংশ মানুষকে আমরা স্থান দিতে পারব। এটাই একুশে জুলাইয়ে তাত্পর্য।
আরও পড়ুন-একুশে জুলাই যানজট এড়াতে বিশেষ ব্যবস্থা, এদিন কলকাতার বহু রাস্তায় যান চলাচল একমুখী