Justice Abhijit Ganguly: 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সবাইকে মেনে চলতে হবে', বললেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
'যতদিন আমি বিচারপতি হিসেবে কাজ করব, বা যখন বাইরে থাকব, অন্য কিছু করব। আমি যেকোনও দুর্নীতির বিরুদ্ধেই সরব হব'।
অর্ণবাংশু নিয়োগী: 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সবাইকে মেনে চলতে হবে। ব্যক্তিগত মন খারাপের কোনও যুক্তি খাটে'। অবশেষে মুখ খুললেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। চাকরিপ্রার্থীদের তাঁর বার্তা, 'আপনারা অপেক্ষা করুন। মামলা তো শেষ হয়ে যায়নি। মামলা অন্য বিচারকের কাছে গিয়েছে'।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আবার চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন তৎকালীন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়েকে! এমনকী, মানিক ভট্টাচার্য সম্পর্কে রীতিমতো কড়া মন্তব্য করেন তিনি।
সেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেই এবার রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। কেন? বিচারাধীন বিষয়ে মুখ খুলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। দিনভর চলল রাজনৈতিক চাপানউতোর।
আরও পড়ুন: Justice Abhijit Ganguly: রাতেই হল শুনানি! সুপ্রিম কোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়
এদিন রাত পর্যন্ত কিন্ত কলকাতা হাইকোর্টে নিজের চেম্বার ছিলেন বিচারপতি। আদালত থেকে বেরনোর সময়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, 'আমি তো নিজে সরাচ্ছি না। এটা তো সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের অর্ডার তো আমাদের সকলকে মেনে নিতে হবে। যার যত মন খারাপই হোক, ব্যক্তিগতভাবে যদি কারও হয়ে থাকে। তাহলে সেখানে বিশেষ কিছু করার নেই'। তাঁর আরও বক্তব্য়, 'যতদিন আমি বিচারপতি হিসেবে কাজ করব, বা যখন বাইরে থাকব, অন্য কিছু করব। আমি যেকোনও দুর্নীতির বিরুদ্ধেই সরব হব'।
এবার কী করবেন? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্য়ায় জানান, 'অর্ডারটি দেখে এখনও ভালো করে বুঝিনি। আইজীবীরা আসবেন। বক্তব্য পেশ করবেন। সেইমতো বুঝতে পারব। একেবারেই পদত্য়াগ করছি না, আমি পালিয়ে যাওয়ার লোক নই'। সঙ্গে যোগ করলেন, 'এই যে মামলা, সেটা তো আমি কোনও ব্য়ক্তিগত উদ্দেশ্য সিদ্ধি করার জন্য় শুরু করিনি। তাই আমার কাছে গেল, না অন্য কারও কাছে গেল, তা নিয়ে বিশেষ মাথাব্যাথা নেই'।