শারীরিকভাবে অক্ষম স্বামী, তাতেই বেড়েছিল স্ত্রীর দাপট, সিভিক ভলেন্টিয়ার খুনে ফাঁস রহস্য
শুক্রবার রাতে কৈখালিতে নিজের বাড়িতে আততায়ীর হাতে খুন হন শম্পা। ঘটনার সময়ে তাঁর বাড়িতে ছিলেন স্বামী ও শাশুড়ি। শম্পার সাড়ে তিন বছরের ছেলে তখন বাইরে ছিল। ফিরে এসে সিঁড়িতে রক্তের দাগ দেখে কেঁদে ওঠে শম্পার ছেলে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: শারীরিকভাবে অসুস্থ তিনি। কিন্তু স্ত্রী রোজগেরে। আর তাতেই বেড়ে গিয়েছিল স্ত্রীর দাপট। সেই দাপট সহ্য করতে না পেরেই ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা। কৈখালিতে মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার শম্পা দাসের খুনের ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত স্বামী ও শাশুড়ি-সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ধৃত স্বামী সুপ্রতিম দাসের দাবি, তাঁর ও তাঁর মায়ের উপর দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চালাতেন শম্পা। নিজের নামে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য শম্পা চাপ দিতেন বলে দাবি। সেই কারণেই সুপারি কিলার নিয়োগ করে স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন সুপ্রতিম। গত ৬ মাস ধরে স্ত্রীকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। ভাড়াটে খুনির প্রত্যেককে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও সোনার গয়না দিয়েছিলেন। ঘটনার দিন বাড়িতে ভাড়াটে খুনি আসার পর স্ত্রীকে নিজেই ফোন করে বাড়িতে ডেকেছিলেন সুপ্রতিম।
আরও পড়ুন: সিভিক ভলান্টিয়ার শম্পার খুনে জোড়া 'রহস্য', সূত্র খুঁজছে পুলিস
শুক্রবার রাতে কৈখালিতে নিজের বাড়িতে আততায়ীর হাতে খুন হন শম্পা। ঘটনার সময়ে তাঁর বাড়িতে ছিলেন স্বামী ও শাশুড়ি। শম্পার সাড়ে তিন বছরের ছেলে তখন বাইরে ছিল। ফিরে এসে সিঁড়িতে রক্তের দাগ দেখে কেঁদে ওঠে শম্পার ছেলে। তার কান্নাতেই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তাঁরা দেখেন, ঘরের শম্পার স্বামী চেয়ারে হাত পা বাঁধা অবস্থায় রয়েছেন। বেডরুমে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন শম্পা। প্রতিবেশীরা মনে করেছিলেন, লুঠ করতে আসা দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হতে হয়েছে শম্পাকে।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিস কৈখালি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একটা বিষয়ে নিশ্চিত হয় যে, শম্পা দাসের খুনের পিছনে পরিবারেরই কোনও সদস্যের হাত রয়েছে। সে-ই শুক্রবার রাতে আততায়ীকে সাহায্য করেছিল
খুনের পর গত ২ দিন ধরে পরিচারিকা ও স্বামীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে নিউটাউন থানার পুলিশ। শেষপর্যন্ত সুপ্রতিম স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের।