কালীঘাট কাণ্ড, সরকারি হাসপাতালেও জুটেছিল দুর্ব্যবহার
কালীঘাট থানার পুলিসের কাছেই নয়, দুর্ব্যবহার জুটেছিল নামি সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম-এও। তাই ঘটনার ৩ দিন বাদেও আতঙ্ক কাটেনি অত্যাচারিত মহিলার। বৃহস্পতিবার অভিযোগকারী মহিলা জানান, স্বামীর কাছে মার খেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় সাহায্য চাইতে ছুটে গিয়েছিলেন কালীঘাট থানায়।
কালীঘাট থানার পুলিসের কাছেই নয়, দুর্ব্যবহার জুটেছিল নামি সরকারি হাসপাতাল এসএসকেএম-এও। তাই ঘটনার ৩ দিন বাদেও আতঙ্ক কাটেনি অত্যাচারিত মহিলার। বৃহস্পতিবার অভিযোগকারী মহিলা জানান, স্বামীর কাছে মার খেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় সাহায্য চাইতে ছুটে গিয়েছিলেন কালীঘাট থানায়। তাঁর শরীর থেকে পড়া রক্ত সে দিন রাতে রাস্তার কুকুর চেটে খেয়ে ছিল। কিন্তু পুলিসের থেকে সাহায্য তো মেলেইনি, উল্টে জুটেছিল কটূক্তি, তির্যক মন্তব্য।
এরপর ওই দিন রাতেই এসএসকেএম-এ চিকিত্সা করাতে গিয়েও মেলে চরম দুর্বব্যবহার। অভিযোগকারী মহিলার দাবি, হাসপাতালের এক কর্মী তাঁকে কটাক্ষ করে বলে, ``আমাকেও বউকে গিয়ে মারতে হবে।`` কালীঘাট থানার অ্যাডিশনাল ওসি সাসপেন্ড হয়েছেন। গ্রেফতার করা হয়েছে মহিলার স্বামীকেও। কিন্তু এখনও গ্রেফতার হননি ঘটনার মূল অভিযুক্ত ভাসুর মেঘনাথ দাস, সোমনাথ দাসের স্ত্রী মিঠু দাস ও শাশুড়ি অনুভা দাস। পুলিসি গড়িমসিতে তাঁরা ফেরার হয়েছেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় আর আস্থা রাখতে পারছেন না অভিযোগকারী মহিলা।
হাতে, মুখে, চোখের নিচে ক্ষত এখনও শুকোয়নি। শুকোয়নি মনের ক্ষতও। তার মধ্যেও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন অত্যাচারিতা মহিলা। কালীঘাটের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই কলকাতা পুলিসের তরফে প্রত্যেকটি থানায় ক্লোজ সার্কিট টিভি বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।