RG Kar Case Verdict | Sanjay Roy: নৃশংস, বর্বরোচিত! তবু মৃত্যুদণ্ড নয়, যাবজ্জীবনই সঞ্জয়ের...
RG Kar convict Sanjoy Roy: বিচারক বললেন, "কী হয়েছে, সেটা আপনার থেকে ভালো কেউ জানে না। আমার কাছে বিচার্য হল প্রমাণ। আপনি যা যা বলেছেন, শুনেছি। কিন্তু সিবিআই যা প্রমাণ দিয়েছে, তাতে আমি নিশ্চিত, আপনার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সঠিক।"

পিয়ালি মিত্র, অর্ণবাংশু নিয়োগী: ফাঁসির সাজা হল না সঞ্জয়ের। আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হল। সেই সঙ্গে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ পরিবারকে। বিরলের মধ্যে বিরলতম বলে দাবি করা হলেও এদিন আদালতে এ কথাই উঠেছিল যে এটি বিরলতম নয়। আরজি করে জুনিয়র মহিলা ডাক্তারের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা শোনালো বিচারক। সিবিআইয়ের দেওয়া প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। তাঁর বক্তব্য, 'সরকারি হাসপাতালে ৩৬ ঘণ্টা ধরে ডিউটিতে ছিলেন শুধু মানুষের সেবা করার জন্য। অত্যন্ত মেধাবী ছাত্রী।'
বিচারক আরও বলেন, 'তাঁর মৃত্যু শুধু পরিবারের নয়, গোটা সমাজের ক্ষতি। এই ঘটনা সমাজকে নাড়িয়ে দিয়েছে। বহু ছাত্রী উচ্চশিক্ষার জন্য যান তখন যদি তাদের নিরাপত্তা না থাকে তাহলে।' তবে সিবিআই আগেই সঞ্জয় রায়ে জন্য সর্বোচ্চ শাস্তি অর্থাত্ ফাঁসির আবেদন জানায়। যদিও সঞ্জয়ের আইনজীবীর আবেদন, তিনি ফাঁসির শাস্তির বিরুদ্ধে নন, কিন্তু যদি সঞ্জয়কে সংশোধনের সময় দিয়ে অন্য কোনও সাজা দেওয়া যায়।
সাজা ঘোষণার আগে ফের বিস্ফোরক আর্তি করে সঞ্জয় বলে, "আমি খুন বা ধর্ষণ কোনওটাই করিনি। বিনা কারণে ফাঁসানো হয়েছে। আমি যদি ধর্ষণ-খুন করে থাকতাম, তাহলে কি রুদ্রাক্ষের মালা নষ্ট হত না? আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমাকে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। পুলিসের কাছ থেকে যখন সিবিআই-এর কাছে যাই। আমি কিছু করিনি।"
সঞ্জয় রায়কে ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর ধারা ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩(১) এর অধীনে বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেছেন। বিএনএসের ধারা ৬৪ (ধর্ষণ) ১০ বছরের কম নয় এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত যেতে পারে। ধারা ৬৬ (মৃত্যু ঘটানো বা শিকারের ক্রমাগত উদ্ভিজ্জ অবস্থার ফলে শাস্তি) ২০ বছরের কম নয় এমন শাস্তির বিধান করে যা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারে। যার অর্থ সেই ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনের বাকি সময়ের জন্য কারাদণ্ড।
এরপরে আদালেই বিস্ফোরক নির্যাতিতার বাবা-মা। তাঁরা বলেন, 'আমরা ক্ষতিপূরণ নিতে আসিনি। ক্ষতিপূরণ চাই না। মেয়ে মৃ্ত্যুর বিচার চাই'। এর উত্তরে বিচারক বলেন, 'আমি জানি আপনারা ক্ষতিপূরণ চাননি কিন্তু আইনে যা সংস্থান রয়েছে সেই অনুযায়ী এই ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এখন এই টাকা নিয়ে আপনারা কি করবেন সেটা সম্পূর্ণ আপনাদের হাতে।'
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)