কলকাতায় লোডশেডিং-এর পূর্বাশঙ্কা, জানাল সিইএসসি
প্রচণ্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত শহরবাসীর। মাঝে কালবৈশাখী আর সামান্য বৃষ্টিতে খানিকটা হলেও স্বস্তি মিলেছিল। আবার যথারীতি সেই দাবদাহের আগমন ঘটছে। এরই মধ্যে ফিরতে পারে লোডশেডিং। চলতি গ্রীষ্মে শহরে লোডশেডিং হবে না, এমন আশার কথা শোনাতে পারছেনা সিইএসসি। মঙ্গলবার এক প্রশ্নের উত্তরে সংস্থার কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জানান, বিদ্যুত ঘাটতি যে হবেনা এমন কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছেনা।
প্রচণ্ড গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত শহরবাসীর। মাঝে কালবৈশাখী আর সামান্য বৃষ্টিতে খানিকটা হলেও স্বস্তি মিলেছিল। আবার যথারীতি সেই দাবদাহের আগমন ঘটছে। এরই মধ্যে ফিরতে পারে লোডশেডিং। চলতি গ্রীষ্মে শহরে লোডশেডিং হবে না, এমন আশার কথা শোনাতে পারছেনা সিইএসসি। মঙ্গলবার এক প্রশ্নের উত্তরে সংস্থার কর্ণধার সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জানান, বিদ্যুত ঘাটতি যে হবেনা এমন কোনও নিশ্চয়তা দেওয়া যাচ্ছেনা।
প্রবল দাবদাহে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। এই মুহুর্তে সিইএসসির বিদ্যুত উত্পাদনের ক্ষমতা ১২২৫ মেগাওয়াট। সিইএসসি এলাকায় চাহিদা বাড়তে বাড়তে দাঁড়িয়েছে ১৬৫০ মেগাওয়াটে। যোগান মেটাতে বাইরে থেকে প্রায় ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কিনতে হচ্ছে সিইএসসিকে। এই অবস্থায় সমস্যায় রয়েছে কয়লার যোগানেরও। গরমের শুরুটা তেমন অসুবিধা না হলেও আগামী দিনে যে লোডশেডিং হবেনা তার আশ্বাস দিতে পারছেনা সিইএসসি কর্তৃপক্ষ।
রাজ্যে যেভাবে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে, তা সামাল দিতে নতুন তাপবিদ্যুত কেন্দ্রই একমাত্র সমাধানের পথ বলে মনে করছে সিইএসসি। এবার হুগলির বলাগড়ে প্রায় হাজার একর জমিতে দুহাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুত কেন্দ্র তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিইএসসি। যদিও সঞ্জীব গোয়েঙ্কা জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় কয়লার যোগান রাজ্য সরকার দিতে পারলে, তবেই এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন সম্ভব।
কোল ব্লক বা কোল লিঙ্কেজ নিয়ে শিল্পপতিদের দাবি মেটাতে এরাজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যা রয়েছে। ২০০৭-এ শেষবারের মত কোনও সংস্থাকে কোল লিঙ্কেজ দিতে পেরেছিল রাজ্য সরকার। তাই, সিইএসসির বলাগড় প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে রাজ্য সরকারের সামনে কয়লার সরবরাহ যে বড় চ্যালেঞ্জ তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।
তবে, এখনও পর্যন্ত তেমন কোনও বড় অসুবিধায় পড়তে হয়নি শহরবাসীদের, সেকথাও জানিয়েছেন সিইএসসির কর্ণধার।