গাড়ি চালাতে চালাতে মা উড়ালপুলে অচৈতন্য চালক! প্রাণ বাঁচল ট্রাফিক সার্জেন্টের তৎপরতায়
প্রথমে অসুস্থ চালকের মুখে ম্যানুয়াল ব্লো দিয়ে তাঁকে কিছুটা চাঙা করলেন। এরপর নিজেই বসে পড়লেন চালকের আসনে। গাড়ি ছুটল চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে।

অয়ন ঘোষাল: মা উড়ালপুলে চলতে চলতে হঠাৎ থেমে গেল গাড়ি। ট্রাফিক সার্জেন্ট তড়িঘড়ি ছুটে এসে দেখলেন গাড়ির চালক কোনও কারণে প্রায় অচৈতন্য। তাঁর প্রবল শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কথা বলার অবস্থায় নেই। এরপরই দেখা গেল মা উড়ালপুলে ডিউটিরত ওই ট্রাফিক সার্জেন্টের মানবিক মুখ।
প্রথমে অসুস্থ চালকের মুখে ম্যানুয়াল ব্লো দিয়ে তাঁকে কিছুটা চাঙা করলেন। এরপর নিজেই বসে পড়লেন চালকের আসনে। গাড়ি ছুটল চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে। সেখানে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে পুলিসের তৎপরতায় শুরু হল চিকিৎসা। প্রাণে বেঁচে গেলেন চালকের আসনে থাকা ওই যুবক। ডাক্তাররা ধন্যবাদ দিচ্ছেন ওই সার্জেন্টকে। সময়ের একটু উনিশ বিশ হলেই এই গল্পটা সম্পূর্ণ উল্টো হতে পারত। হতে দিলেন না কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক সার্জেন্ট মেকাইল হোসেন। ৩৭ বছরের সঞ্জয়বাবু কোলাঘাটের বাসিন্দা। পেশায় ব্যবসায়ী।
সেখান থেকেই গাড়ি চালিয়ে সল্টলেকে ব্যবসার কাজে যাচ্ছিলেন সঞ্জয়বাবু। কিন্তু তার মাঝেই রাস্তায় অসুস্থ হয়ে পড়েন সঞ্জয়বাবু। বার বার বমি করতে থাকায়, সেই সময় পরিবারের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগও পাননি ট্রাফিক সার্জেন্ট মেকাইল হোসেন। পরে খবর দেওয়া হয় বাড়ির লোককে। খবর পেয়ে আসছেন তাঁরাও। পরিবারের লোকেরাও একবাক্যে কুর্নিশ জানাচ্ছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট মেকাইল হোসেনের এই মানবিক তৎপরতাকে।