প্রচার শেষের আগের রাতেও শহরে হামলা, বোমাবাজি, মারধর
প্রচার শেষের আগের রাতেও শহরে দফায় দফায় হামলা।বাঘাযতীন, একবালপুরে আক্রান্ত সিপিআইএম কর্মীরা। চলে বোমাবাজি, মারধর। কাঠগড়ায় তৃণমূল।
ওয়েব ডেস্ক: প্রচার শেষের আগের রাতেও শহরে দফায় দফায় হামলা।বাঘাযতীন, একবালপুরে আক্রান্ত সিপিআইএম কর্মীরা। চলে বোমাবাজি, মারধর। কাঠগড়ায় তৃণমূল।
বুধবার সন্ধ্যায় গাঙ্গুলিবাগানে বাড়ি বাড়ি প্রচারের সময় আক্রান্ত হন সিপিআইএম কর্মীরা । তৃণমূলের বাইক বাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, পরে সেই হামলাকারীরাই বাঘাযতীনে সিপিআইএমের জোনাল কমিটি অফিসেও চড়াও হয়। মারধরে ছজন সিপিআইএম কর্মী জখম হন।
হামলার প্রতিবাদে সিপিআইএম কর্মীরা বাঘাযতীন মোড়ে অবরোধ শুরু করেন। সুজন চক্রবর্তীসহ নেতারাও অবরোধে সামিল হন।
রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনার পারদও ক্রমশ চড়তে থাকে।পুলিসের সামনেই বাঘা যতীন মোড়ের ঠিক বিপরীতে জড়ো হতে শুরু করেন তৃণমূল কর্মীরা।
পুলিস নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়ায় রাত সাড়ে বারোটায় অবরোধ তুলে নেন সিপিআইএম কর্মীরা। কিন্তু ততক্ষণে একবালপুরে উত্তেজনা চরমে। ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্ত এক দলীয় কর্মীর অভিযোগ নিতে অস্বীকার করায় সিপিআইএম কর্মীরা একবালপুর থানা ঘেরাও করেন।
চাপের মুখে শেষমেশ অভিযোগ নেয় পুলিস। এদিন সন্ধ্যায় রাজাবাজার, নারকেলডাঙায় বিরোধীদের প্রচারে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। রাত পর্যন্ত বোমাবাজি চলে মুকুন্দপুরে। বাঘা যতীনের অবরোধ-ফেরত দুই সিপিআইএম কর্মী আক্রান্ত হন চিত্তরঞ্জন কলোনিতে। কাল বাদ পরশু ভোট। তার আগে এমন লাগামছাড়া অশান্তির জেরে প্রশ্ন উঠছে, শেষপর্যন্ত ভোটপর্ব আদৌ শান্তিতে মিটবো তো?