মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ল্যান্ড ব্যাঙ্ক এখনও বিশ বাঁও জলে
বুধবার শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে জমি পছন্দ করতে বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাস্তবে অবশ্য, ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি তো দূরের কথা, জমি চিহ্নিতই হয়নি বেশির ভাগ জেলায়। ল্যান্ড ম্যাপ তৈরির কাজ হয়েছে মাত্র ছটি জেলায়। আগামিকাল তা প্রকাশ করবে অর্থ দফতর।
বুধবার শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক থেকে জমি পছন্দ করতে বলে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বাস্তবে অবশ্য, ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি তো দূরের কথা, জমি চিহ্নিতই হয়নি বেশির ভাগ জেলায়। ল্যান্ড ম্যাপ তৈরির কাজ হয়েছে মাত্র ছটি জেলায়। আগামিকাল তা প্রকাশ করবে অর্থ দফতর।
২০১১ সালের ১৯ মে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৩০ মে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর অগ্রাধিকারের তালিকায় যে শিল্পায়ন আছে, তা বোঝাতেই শপথ নেওয়ার ঠিক দশদিনের মাথায় মুখ্যমন্ত্রী দ্রুততার সঙ্গে ল্যান্ড ম্যাপ তৈরির কথা ঘোষণা করেন। এই বছর ২০ মে নতুন সরকার দুই পেরিয়ে তিনে পা দেবে। তার ঠিক ১২ দিন আগে শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী।
খোঁজ নিতে গিয়ে কিন্তু দেখা যাচ্ছে ল্যান্ড ব্যাঙ্ক তৈরি তো দূরের কথা, হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়া ছাড়া অন্য জেলাগুলিতে জমি চিহ্নিত করার কাজই শেষ হয়নি। কেন এত দেরি? ভূমি দফতরের সাফাই, বাম আমলে পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বর্ধমান এবং বীরভূম--এই পাঁচটি জেলায় ব্লকভিত্তিক ল্যান্ড ম্যাপ তৈরি হয়ে যায়। নতুন সরকার আসার পর নতুন পদ্ধতিতে জোন ভিত্তিক ম্যাপ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অর্থাত্, কৃষি, শিল্প ও পর্যটন, নগরায়ন, জলাভূমির জন্য জমি ম্যাপে দেখানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এর ফলে, ব্লক ভিত্তিক জমি চিহ্নিত করার পাশাপাশি ল্যান্ড ব্যাঙ্কে জমিগুলিকে চরিত্র অনুযায়ী ভাগ করা হচ্ছে। এমনকী, বাম আমলের পাঁচটি জেলার ব্লকভিত্তিক ম্যাপ তৈরি থাকলেও তা আবার নতুন করে জোন ভিত্তিতে তৈরি করা হচ্ছে। আর সে কারণেই লাগছে দীর্ঘ সময়। ভূমি দফতর সূত্রে খবর, এভাবে জমি চিহ্নিত করে এখনও পর্যন্ত মাত্র ছটি জেলার ম্যাপ তৈরির শেষ হয়েছে।