লকডাউনের সমস্যায় পড়তে হবে না বিচারপ্রার্থীদের, স্কাইপেই রায় দেবেন বিচারপতিরা
করোনা সংক্রমণের ভয়ে আদালতে দাঁড়িয়ে নয়, একেবারে বাড়ি বা অফিসে বসেই জরুরি মামলা সেরে ফেলতে পারবেন আইনজীবীরা। সেক্ষেত্রে নিরাপদ জায়গায় বসেই বিচার করবেন বিচারপতিরা।
নিজস্ব প্রতিবদন: একটানা লকডাউনের জেরে কার্যত স্তব্ধ গোটা দেশ। সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। বাদ যাচ্ছেন না বিচারপ্রার্থীরাও। তবে এবার আর সমস্যায় পড়তে হবে না তাঁদের। হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এবার স্কাইপেই হবে মামলার রায়। করোনা সংক্রমণের ভয়ে আদালতে দাঁড়িয়ে নয়, একেবারে বাড়ি বা অফিসে বসেই জরুরি মামলা সেরে ফেলতে পারবেন আইনজীবীরা। সেক্ষেত্রে নিরাপদ জায়গায় বসেই বিচার করবেন বিচারপতিরা।
আরও পড়ুন: কলকাতায় আরও ৩ জনের দেহে মিলল করোনাভাইরাস, রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৭
শনিবার হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল রাই চট্টোপাধ্যায় প্রধান বিচারপতির তরফে এক নির্দেশিকা জারি করে এই তথ্য জানান। হাইকোর্টের বক্তব্য, স্কাইপির মাধ্যমে আইনজীবী ও বিচারপতিদের মধ্যে যোগাযোগ রেখে বিচারকার্য চালিয়ে যাবে কোর্ট। এই পদ্ধতিতে অনেক মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলেই অনেকে মনে করছেন।
উল্লেখ্য, বন্দিদের দ্রুত জামিনে দিতে আগেই উচ্চ পর্যায় কমিটি গঠন করেছিল হাইকোর্ট। বন্দিদের একটি মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। করোনার কারণে নিম্ন আদালত সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই মামলাতে নতুন করে উল্লেখ করা হয় মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকে। জেলে প্রচুর আসামি বাড়ছে বলেও অভিযোগ জানানো হয়।
এরপরই এজি চিঠি দিয়ে প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ চান। দ্রুত জামিন দেওয়ার জন্য নিম্ন আদালতেও নির্দেশ যায়। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট একই ধরনের মামলাতে দেশের প্রতিটি হাইকোর্টকে একটি বিশেষজ্ঞদের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ আজ প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি ওঠে। ডিভিশন বেঞ্চ মুখ্যসচিব, ডিজি কারা, চেয়ারম্যান স্টেট লিগ্যাল নিয়ে একটি কমিটি গড়ে দেন।
বন্দিদের কীভাবে জামিন ও প্যারোল দেওয়া যায় তা দেখবে কমিটি। ৩১ মার্চ সেই রিপোর্ট জমা দেবে কমিটি। উল্লেখ্য, সালসা তাঁদের প্যানেলভুক্ত আইনজীবীদের যারা আসতে ইচ্ছুক তাদের জামিনের জন্য নিয়োগ করবে বলে জানা গিয়েছে৷