দলের পুরনো নেতাকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির থাকবেন বাম নেতারা
ছাত্র আন্দোলনে রাজনীতির হাতেখড়ি তাঁর। তারপর সিপিআইএমের সদস্য হওয়া। বর্ধমানের মেমারি থেকে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তারপর দল থেকে সম্মানজনক বিচ্ছেদ। তিনি সইফুদ্দিন চৌধুরী। আজন্ম বামপন্থার প্রতি আস্থা রেখেছেন। সেই কারণেই সব রাজনৈতিক দলের সমীহ আদায় করে নিয়েছিলেন। তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির থাকবেন তাঁর পুরনো দলের সহকর্মীরা।
ওয়েব ডেস্ক: ছাত্র আন্দোলনে রাজনীতির হাতেখড়ি তাঁর। তারপর সিপিআইএমের সদস্য হওয়া। বর্ধমানের মেমারি থেকে সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য। তারপর দল থেকে সম্মানজনক বিচ্ছেদ। তিনি সইফুদ্দিন চৌধুরী। আজন্ম বামপন্থার প্রতি আস্থা রেখেছেন। সেই কারণেই সব রাজনৈতিক দলের সমীহ আদায় করে নিয়েছিলেন। তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানাতে হাজির থাকবেন তাঁর পুরনো দলের সহকর্মীরা।
দল থেকে অনেক নেতাকেই বিভিন্ন সময়ে বহিষ্কার করেছে সিপিআইএম। কিন্তু, সেই সকলের মধ্যে পড়েন না সৈফুদ্দিন চৌধুরী। দলের থেকে তাঁর আলাদা হয়ে যাওয়াকে কোনওভাবেই বহিষ্কার বলা যায় না। সম্ভবত, সেই কারণেই তাঁর ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল সম্মানজনক বিচ্ছেদ। দলবিরোধী কাজ বা কোনওরকম তছরুপের কারণে নয় দলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের কারণ ছিল পুরোপুরি মতাদর্শগত। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধংস্বের পর দেশের সামনে বড় শত্রু বিজেপি না কংগ্রেস তা নিয়ে তর্ক বিতর্ক শুরু হয় বামপন্ধী দলগুলির মধ্যে। ব্যতিক্রম ছিল না সিপিআইএমও। সৈফুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য ছিল, বিজেপি কংগ্রেসের থেকেও ভয়ঙ্কর। কারণ তারা সাম্প্রদায়িক। সৈফুদ্দিন চৌধুরী দাবি তুলেছিলেন বিজেপি ও কংগ্রেস উভয়ই শত্রু। এই সমদূরত্বের নীতি থেকে সরে আসুক দল। ঘোষিত অবস্থান হোক বিজেপি দেশের সামনে সবচেয়ে বড় শত্রু। তাঁর মত ছিল, প্রয়োজনে বিজেপিকে আটকাতে কংগ্রেসের হাত ধরতে দ্বিধা থাকা উচিত নয় বামেদের। কিন্তু সেসময় তাঁর সঙ্গে একমত হতে পারেননি সিপিআইএম নেতৃত্ব। তাই সিপিআইএমের সঙ্গে সম্মানজনক বিচ্ছেদ হয় তাঁর। বিচ্ছেদ হলেও একজন রাজনৈতিক নেতা হিসাবে সিপিআইএম সহ সব বাম দলের নেতাদের কাছেই তিনি একজন অত্যন্ত সম্মানীয়নেতা ছিলেন। গোটা দেশের বাম নেতাদের সঙ্গে সব সময়ই রাজনৈতিক আদানপ্রদান চলত তাঁর। ব্যতিক্রম ছিলেন না বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, বিমান বসুদের মতো সিপিআইএম নেতারাও।
তিনি অসুস্থ হওয়ার পর সবসময়ই খোঁজখবর নিতেন তাঁরা। সেই কারণেই সৈফুদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুর পর তাঁকে শ্রদ্ধা জানতে যাবেন সিপিআইএম নেতারা। মঙ্গলবার এসএফআই এর দফতরে নিয়ে যাওয়া হবে প্রয়াত সৈফুদ্দিন চৌধুরীর দেহ । সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন সিপিআইএম নেতারা।