বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা বাম ও কংগ্রেসের
''নোট বাতিলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধ চলছে। এখন অনাস্থা কেন?'' বিধানসভায় বিরোধীদের তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বামেরা সৌজন্য বোঝে না। বামেদের সঙ্গে কোনওদিন যোগাযোগ করবেন না।
ওয়েব ডেস্ক : ''নোট বাতিলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ যুদ্ধ চলছে। এখন অনাস্থা কেন?'' বিধানসভায় বিরোধীদের তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর অভিযোগ, বামেরা সৌজন্য বোঝে না। বামেদের সঙ্গে কোনওদিন যোগাযোগ করবেন না।
দিল্লিতে দোস্তি। রাজ্যে কুস্তি। বহু প্রাচীন রাজনৈতিক প্রবাদ। তারই অ্যাকশন রিপ্লে বিধানসভায়। মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা বাম ও কংগ্রেসের। এই সময়ে, যখন নোট বাতিলের বিরুদ্ধে তিনপক্ষই একই নৌকার সওয়ার। বলতে উঠে তাই বললেন মমতা।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, "নোট বাতিলের বিরুদ্ধে গোটা দেশ ঐক্যবদ্ধ লড়াই করছে। তখনই কেন বিরোধীরা অনাস্থা আনলেন?'' ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের স্বার্থেই বামেদেরও আহ্বান জানিয়েছেন। দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীই ফোন করেন সীতারাম ইয়েচুরিকে। বিধানসভায় দাবি করেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। 'সুজন চক্রবর্তী ফোন করলেও তিনি রিংব্যাক করেন। এটাই সৌজন্য। ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের জন্যই ইয়েচুরিকে ফোন করেন। দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, বামেরা সৌজন্য জানে না। তাই আর ফোন করবেন না। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সার্জিকাল স্ট্রাইক। সরাসরি বিরোধী বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে বললেন, "বিধানসভায় যাঁরা চেঁচাচ্ছেন, তাঁদেরও অনেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন বা গোপনে যোগাযোগ করেন। তিনি তাঁদের নাম প্রকাশ করছেন না।''
৩০ মিনিট বলার কথা ছিল। ১০ মিনিটেই বিরোধীদের কার্যত বিধ্বস্ত করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। অনাস্থার পক্ষে ভোট পড়েছে ৫০টি। বাম ও কংগ্রেসের ২৫টি করে ভোট। বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৯১টি। তবে বিজেপি আলোচনা ও ভোটাভুটিতে যোগ দেয়নি।