লকডাউনের বাজারে খুলল ফুলবাজার, ভিড় কম হলেও স্বস্তির হাসি ব্যবসায়ীদের মুখে
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। বুধবার সকালে মল্লিকঘাট ফুলবাজারে গিয়ে দেখা গেল, অনেক ব্যবসায়ীই তাঁদের পসরা নিয়ে বসে পড়েছেন। তবে আগের তুলনায় ভিড় খুব কম। দেখা গেল দূরদূরান্ত থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও এসেছেন ফুল কিনতে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: লকডাউনের বাজারে ফুল ব্যবসায় ছাড় দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফুল ব্যবসায়ীদের দুরবস্থার কথায় মাথায় রেখেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন ফুল ব্যবসায়ীরা। বুধবার সকালে মল্লিকঘাট ফুলবাজারে গিয়ে দেখা গেল, অনেক ব্যবসায়ীই তাঁদের পসরা নিয়ে বসে পড়েছেন। তবে আগের তুলনায় ভিড় খুব কম। দেখা গেল দূরদূরান্ত থেকে পাইকারি ব্যবসায়ীরাও এসেছেন ফুল কিনতে।
তবে ফুল বিক্রেতারা বলছেন, আগের তুলনায় ভিড় খুব কম। তাছাড়া সঠিক দামও পাওয়া যাচ্ছে না। যে চাষিরা ফুল নিয়ে আসছেন, তাঁরাও কিছুটা বাড়তি টাকা নিচ্ছেন। এর অন্যতম কারণ, ট্রেন চলাচল বন্ধ।
‘মাস্ক পরেন না কেন? বয়স হয়েছে আপনার’, মমতার ‘শাসনে’ আপ্লুত বিমান বসু
মূলত, কোলাঘাট, রানাঘাট, বনগাঁ, মেচেদার মতো এলাকা থেকে চাষিরা ফুল নিয়ে আসেন হাওড়ার মল্লিকঘাট ফুলবাজারে। ফুল ব্যবসায়ীরা তাঁদের থেকে ফুল কিনে সেখানেই অন্যান্য ব্যবসায়ীদের পাইকারি হিসেবে বিক্রি করে থাকেন। খুচরো ফুলও বিক্রি হয়ে থাকে এখানে।
এখন ছোটো ম্যাটাডোর বা ৪০৭ গাড়ি গুলিতে করে ফুল আনতে হচ্ছে চাষিদের। আর তার জন্যই বাড়তি কিছুটা টাকা দিতে হচ্ছে তাঁদের।
তবে ফুলচাষিদের মুখে কিছুটা হলেও স্বস্তির হাসি। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন তাঁরা।
তবে করোনা মোকাবিলায় ফুলবাজারে কতটা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হবে? ফুলব্যবসায়ীরা অবশ্য বলছেন, মুখ্য়মন্ত্রীর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করবেন তাঁরা।