লকডাউনকে অমান্য করে রাতে রকে আড্ডা! নিয়ম ভাঙায় গ্রেফতার মোট ২৫৫
ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ২৬৯ ও২৭০- এই ৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।


নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের মধ্যে রাতে রকে বসে আড্ডা! নিয়ম ভাঙায় ১৯ জনকে গ্রেফতার করল নিউ আলিপুর থানা। তবে শুধু নিউ আলিপুর থেকে ১৯ জন নয়, লালবাজার সূত্রে খবর, লকডাউন নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করায় মোট ২৫৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। টুইট করে একথা জানিয়েছেন কলকাতা পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা। টুইটে শহরবাসীকে তিনি ঘরে থাকার ও পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতার করার জন্য অনুরোধ করেছেন। পাশাপাশি, আরও জানিয়েছেন শহরজুড়ে পুলিসের টহলদারি অভিযান চলবে।
জনতা কার্ফু নিয়ে সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করায় ধৃতদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮, ২৬৯ ও২৭০- এই ৩ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৮৮ ধারা হল সরকারি নির্দেশ অমান্য। ২৬৯ ধারায় বলা হয়েছে অবহেলার জেরে সংক্রামক রোগ ছড়ানো। আর ২৭০ ধারায় চক্রান্ত করে সংক্রামক রোগ ছড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেল ৪টে থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে লকডাউন। ২৭ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন।
করোনার সংক্রমণ রুখতেই দেশজুড় কলকাতা, দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু সহ ৮০টি জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা অমান্য করলে তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সংক্রমণ রুখতে ঘরে থাকার আবেদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। কোনওভাবেই আইন নিজে হাতে না তুলে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন তিনি। এরপরই বিকেল থেকে লকডাউন শুরু হলে কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয়ে যায় পুলিসি টহল। রাস্তায় কোনও গাড়ি দেখলেই তাঁর চালক ও আরোহীদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায় পুলিসকে।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের কাছে আর্থিক প্যাকেজের দাবি করবে রাজ্য, সিদ্ধান্ত সর্বদল বৈঠকে
উল্লেখ্য, সোমবারই রাজ্যে করোনায় প্রথম মৃত্যু হয়েছে দমদমের বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ের। রাজ্যে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা ৯। দেশে আক্রান্ত এখনও পর্যন্ত ৪৭১ জন। মারণ ভাইরাসের শিকার হয়েছেন মোট ৯ জন। ভারতে তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ (সামাজিক সংক্রমণ) রুখতে তৎপর প্রশাসন।