'ধর্মকে সঙ্গী করে ভোট ঠিক নয়,' হোলি-মিলন উত্সব নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ সব্যসাচীর
"যে ওয়ার্ডে আমি ২০ বছর পৌরপিতা ও আমার স্ত্রী ৫ বছর কাউন্সিলর ছিলেন, হঠাত্ করে দেখলাম ভোটকে কেন্দ্র করে সেখানে হোলি মিলন উৎসব হল। এগুলো আমি পছন্দ করি না।"
নিজস্ব প্রতিবেদন : আবারও দল ছাড়া, বিজেপিতে যোগ দেওয়া এই প্রসঙ্গে সব জল্পনা উড়িয়ে দিলেন বিধাননগরের মেয়র তথা নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। স্পষ্ট জানালেন, "আমি দলে কোনও কোণঠাসা হইনি। আমি যেখানে ছিলাম, সেখানেই আছি।"
এদিন লেকটাউনে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক যোগ দেন স্থানীয় বিধায়ক সব্যসাচী। ঘণ্টাখানেক সেখানে থাকেন বিধায়ক। তারপর বক্তব্য রাখতে উঠে সব্যসাচী দত্ত বলেন, "যখন সব দরজা বন্ধ হয়ে যায়, তখন আমরা ভগবানকে স্মরণ করি।" কিন্তু 'দরজা বন্ধ' হয়ে যাওয়া বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন? তা অবশ্য সাংবাদিকদের কাছে খোলসা করেননি বিধাননগরের মেয়র।
উল্লেখ্য, ভোটের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। জোরকদমে শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী প্রচার। সেইসময় সমস্ত নেতা-নেত্রীরা যখন প্রচারে ব্যস্ত, তখন তিনি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে? প্রশ্ন করা হয়েছিল সব্যসাচী দত্তকে। যার উত্তরে সব্যসাচী বলেন, "ভোট আসবে, ভোট যাবে। ধর্মকে সঙ্গী করে যারা ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছে, সেটা ঠিক নয়।"
আরও পড়ুন, মমতার বিরুদ্ধে কারসাজির অভিযোগ মুকুলের, কোচবিহারে জোড়া পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের
এরপরই তিনি একদিকে আক্ষেপ, অন্যদিকে ক্ষোভের সুরে বলেন, "যে ওয়ার্ডে আমি ২০ বছর পৌরপিতা ও আমার স্ত্রী ৫ বছর কাউন্সিলর ছিলেন, হঠাত্ করে দেখলাম ভোটকে কেন্দ্র করে সেখানে হোলি মিলন উৎসব হল। এগুলো আমি পছন্দ করি না।" প্রসঙ্গত, ৩১ মার্চ বিধাননগর বিএফ পার্কে 'হোলি প্রীতি সম্মেলন'-এর আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র তথা পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজ্যের তিন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও ব্রাত্য বসু। উপস্থিত ছিলেন বারাসতের বিদায়ী সাংসদ ও এবারও ওই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
উল্লেখ্য, ওই অনুষ্ঠানের জন্য যে আমন্ত্রণপত্র ছাপানো হয়েছিল, তাতে নাম ছিল না সব্যসাচী দত্তের। আমন্ত্রণকারী হিসেবে নাম ছিল রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বোসের। আমন্ত্রণপত্রে নাম না থাকায় উপস্থিত ছিলেন না সব্যসাচী দত্ত। তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে বিস্তর জলঘোলা হয়। এদিকে, যেখানে অনুষ্ঠান হয় সেই জায়গাটি বিধাননগর পুরনিগম এলাকার অন্তর্ভুক্ত। ওই পুরনিগমের মেয়র তৃণমূলের সব্যসাচী দত্ত। এমনকী যে ওয়ার্ডে অনুষ্ঠানটি হয়, সব্যসাচী দত্ত সেখানকার-ই কাউন্সিলর।