শিশুকে বেঁধে বেলেঘাটায় লুঠ
বাড়ির একতলায় খেলছিল বছর দশের মেয়েটি। আচমকাই ঘরে ঢুকে পড়ে এক দুষ্কৃতী। শিশুটির হাত-পা মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে দেয়। আলমারি ভেঙে শুরু হয় লুঠপাট। পুলিসের অনুমান, চাউলপট্টির বাড়িতে কে, কখন থাকে তানিয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল দুষ্কৃতীর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভরদুপুরে বেলেঘাটার চাউলপট্টির ঘিঞ্জি এলাকায় শিশুর হাত-পা-মুখ বেঁধে লুঠ। খাস কলকাতায় বেলেঘাটার মতো ঘন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঘরে ঢুকে সোনার গয়না-নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিস।
দুপুরে বাড়ির একতলায় খেলছিল বছর দশের মেয়েটি। আচমকাই ঘরে ঢুকে পড়ে এক দুষ্কৃতী। শিশুটির হাত-পা মুখ বেঁধে ফেলে। তারপর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে দেয়। আলমারি ভেঙে শুরু হয় লুঠপাট। এরপর হাত পা বাঁধা অবস্থাতেই কোনওরকমে মায়ের কাছে গিয়ে পুরো ঘটনা জানায় মেয়েটি।
বেলেঘাটার মতো ঘিঞ্জি এলাকায় দিনেদুপুরে এমন লুঠে আতঙ্কিত এলাকাবাসী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বেলেঘাটা থানার পুলিস। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ডাকাতি দমন শাখাও। রেকর্ড করা হয়েছে গৃহকর্ত্রী ও মেয়েটির বয়ান। বাড়ির ধারেকাছে কোনও সিসিটিভি না থাকলেও প্রাথমিক তদন্তে পুলিসের অনুমান, চাউলপট্টির বাড়িতে কে, কখন থাকে তানিয়ে স্পষ্ট ধারণা ছিল দুষ্কৃতীর এবং ওইসময়ে একতলার ঘরে শিশুটি একা থাকে সেটাও জানা ছিল দুষ্কৃতীর।
সবমিলিয়ে পুলিসের ধারনা, লুঠের পিছনে হাত রয়েছে চেনা পরিচিত কারোর। কী কী লুঠ হয়েছে আপাতত সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।