মানসিক হাসপাতালে ল্যাবরেটরির জন্য `টোকেন মানি` বরাদ্দ করল স্বাস্থ্য দফতর
হাসপাতালের ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১ লক্ষ টাকা। ওই টাকাতেই সরঞ্জাম থেকে রাসায়নিক, সব কিছুরই বন্দোবস্ত করতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। শহরের দুই সরকারি মানসিক হাসপাতাল লুম্বিনি পার্ক এবং পাভলভকে এমনই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ফলে, নাম কে ওয়াস্তে ল্যাবরেটরি চালু হলেও তাতে রক্তপরীক্ষা ছাড়া আর কোনও কাজই হচ্ছে না। দুই মানসিক হাসপাতালের রোগীদের অন্য সব পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য নিয়ে যেতে হয় সেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেই।
হাসপাতালের ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য বরাদ্দ হয়েছে মাত্র ১ লক্ষ টাকা। ওই টাকাতেই সরঞ্জাম থেকে রাসায়নিক, সব কিছুরই বন্দোবস্ত করতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। শহরের দুই সরকারি মানসিক হাসপাতাল লুম্বিনি পার্ক এবং পাভলভকে এমনই নির্দেশিকা পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। ফলে, নাম কে ওয়াস্তে ল্যাবরেটরি চালু হলেও তাতে রক্তপরীক্ষা ছাড়া আর কোনও কাজই হচ্ছে না। দুই মানসিক হাসপাতালের রোগীদের অন্য সব পরীক্ষানিরীক্ষার জন্য নিয়ে যেতে হয় সেই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেই।
শহরের দুই সরকারি মানসিক হাসপাতাল, লুম্বিনি পার্ক এবং পাভলভ। দুই হাসপাতালেই নেই কোনও ল্যাবরেটরি। সামান্য রক্ত পরীক্ষা থেকে শুরু করে সিটি স্ক্যান, আলট্রা সোনোগ্রাফি, এক্স-রে। যেকোনওরকম পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যই রোগীদের নিয়ে যেতে হতো পার্কসার্কাসের ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে। রোগীদের হয়রানি কমাতে বহুবার নিজস্ব ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য স্বাস্থ্য দফতরের দ্বারস্থ হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে ২ জানুয়ারি এই দুই হাসপাতালে ল্যাবরেটরি তৈরির সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। জারি হয়েছে সরকারি নির্দেশিকা। কিন্তু, সেই নির্দেশিকা দেখে চক্ষু চরকগাছ দুই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। পাভলভ এবং লুম্বিনি- দু-জায়গাতেই ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য মাত্র ১ লাখ টাকা করে বরাদ্দ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। যার মধ্যে ৭৫ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে সরঞ্জাম কেনার জন্য। আর বাকি ২৫ হাজার টাকা রাসায়নিক কেনার জন্য।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, রোগীদের দুর্ভোগ কমাতেই এই ল্যাবরেটরি তৈরির সিদ্ধান্ত। নিরুপায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য আপাতত রক্তের যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষাতেই সীমাবদ্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছেন ল্যাবরেটরির কাজ। অর্থাত্, বাকি পরীক্ষাগুলির জন্য আগের মতোই মানসিক রোগীদের নিয়ে পরিজনদের ছুটতে হবে ন্যাশনাল মেডিক্যালে। কেন ল্যাবরেটরি তৈরির জন্য মাত্র এক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করল স্বাস্থ্য দফতর, তার কোনও সদুত্তর স্বাস্থ্য কর্তাদের কাছ থেকে মেলেনি।