অটো দৌরাত্ম্যে লাগাম টানতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা পরিবহণ মন্ত্রীর
রাজ্যে বেপরোয়া অটোর দৌড়াত্ম্যে লাগাম পরাতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করলেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। মঙ্গলবার মহাকরণে সবকটি অটো ইউনিয়নকে নিয়ে বৈঠকে বসেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র।
রাজ্যে বেপরোয়া অটোর দৌড়াত্ম্যে লাগাম পরাতে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করলেন পরিবহণ মন্ত্রী মদন মিত্র। মঙ্গলবার মহাকরণে সবকটি অটো ইউনিয়নকে নিয়ে বৈঠকে বসেন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে বেশ কিছু নির্দেশিকা ঘোষণার পাশাপাশি রাজ্য নিজস্ব মোটর আইন চালু করার কথা ভাবছে বলেও জানান পরিবহণ মন্ত্রী। অটোচালকদের পরিচয়পত্র, ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক করার সঙ্গে আরও যেই বিষয়গুলির পর কড়া নজরদারি করবে সরকার সেগুলি হল-
১)চলন্ত অটোতে গান বাজানো যাবে না
২)অটো চালানোর সময় মোবাইলে কথা বলতে পারবেন না চালকরা
৩)প্রত্যেক অটোর ভিতরে এবং বাইরে নম্বর লেখা থাকবে
৪)৪ জনের বেশি যাত্রী তোলা যাবে না অটোয়
৫)অটোয় বসে ধূমপান করতে পারবেন না চালক
৬)চালকের অনুমোদন পেতে হলে অন্তত ২ জন ব্যক্তির রেফারেন্স লাগবে
৭)প্রত্যেক সকালে ব্রেক, ক্লাচ, গিয়ার, টায়ার পরীক্ষা হবে
৮)প্রত্যেক অটোচালককে থানা থেকে পরিচয় পত্র দেওয়া হবে
৯)পরিচয় পত্র জমা দিতে হবে ইউনিয়ন অফিসে
১০)চালকের নির্দিষ্ট ইউনিফর্ম থাকবে এবং পোষাকে নাম ও লাইসেন্স নম্বর লেখা থাকবে
১১)অটোচালকের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য স্থানীয় থানায়
১২)প্রত্যেক অটোয় লাগিয়ে রাখতে হবে রাজ্যের হেল্পলাইন নম্বর ১০৭৩
১৩)যাত্রী প্রতারণা বন্ধ করতে হবে অটোচালকদের
১৪)এলইডি আলো ব্যবহারের ক্ষেত্রেও আরোপ করা হয়েছে বিশেষ বিধিনিষেধ
গত ১৬ অগাস্ট সিঁথি-কুঠিঘাট রোডের অটোচালক সঞ্জয় দাসের অমানবিক অচরণের জেরেই এদিন বৈঠক ডাকেন মদন মিত্র। ৪ বছরের মেয়ে অদ্রিকাকে নিয়ে স্কুল থেকে ফিরছিলেন সিঁথির বাসিন্দা শর্মিষ্ঠা ঘোষাল। সিঁথি-কুঠিঘাট রুটের অটোতে মেয়েকে নিয়ে ওঠেন শর্মিষ্ঠাদেবী। দুই শিশুসহ মোট ৬ জন যাত্রী নিয়ে অটো ছাড়ে। কিছুদুর যাওয়ার পর সামনে উঁচু ম্যানহোল থাকায় দ্রুত ঘুরে যায় অটোটি। দ্রুততায় অটো থেকে গলে পড়ে যায় ছোট্ট অদ্রিকা। শর্মিষ্ঠাদেবী মেয়ের হাত ধরে ছিলেন। বারবার অটোচালক সঞ্জয় দাসকে অটো থামানোর জন্য অনুরোধ করতে থাকেন শর্মিষ্ঠা। কিন্তু কোনও ভ্রূক্ষেপ না করে বেশকিছুটা পথ অদ্রিকাকে হিঁচড়ে নিয়ে যায় সঞ্জয়। কিছুক্ষণ পরে শর্মিষ্ঠার হাত ফস্কে ছিটকে যায় অদ্রিকা। শেষ পর্যন্ত দিশেহারা হয়ে চালকের কলার টেনে ধরেন শর্মিষ্ঠা। সোমবারই বিস্তারিত ঘটনা জানতে গুরুতর জখম অদ্রিতার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন মদন মিত্র। অটোচালকের আচরণের তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি পরিস্থিতি
আয়ত্তে আনতে মঙ্গলবারই সবকটি অটো ইউনিয়নের সঙ্গে বৈঠক ডাকেন তিনি।