থানার চেয়ারে বসেই রাত কাটালেন মদন
গ্রেফতারের পর থানার চেয়ারে বসেই গোটা রাত কাটালেন মন্ত্রী মদন মিত্র। শুধু তাই নয় এক কাপ লিকার চা ছাড়া কোনও কিছুই মুখে তোলেননি তিনি। রাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
কলকাতা: গ্রেফতারের পর থানার চেয়ারে বসেই গোটা রাত কাটালেন মন্ত্রী মদন মিত্র। শুধু তাই নয় এক কাপ লিকার চা ছাড়া কোনও কিছুই মুখে তোলেননি তিনি। রাতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা।
মন্ত্রী হিসেবে যতটা বর্ণময় ছিল তার চালচলন, শুক্রবার রাতে তা পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল ।
রাত-৮টা ৪৫
সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় নিয়ে যাওয়া হয় মন্ত্রীকে। সংবাদ মাধ্যম উত্সাহীদের থেকে আড়াল ছিল প্রচুর পুলিশ ।
রাত -১০ টা ৩০
থানায় এলেন মদন মিত্রের স্ত্রী, ছেলে, বৌমা। ঢুকে গেলেন থানার ভিতরে। কয়েক মিনিট কথা বললেন মন্ত্রীর সঙ্গে। থানা সূত্রে খবর স্বভাবসিদ্ধাভঙ্গিতে কথা না বললেও বাড়ির লোককে চিন্তা না করতে বলেন মন্ত্রী। শুধু তাই নয়, তাঁর কিছু হবে না বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
রাত ১১.৪৫
থানার ভিতরে তখন সন্ত্রস্ত, সতর্ক পুলিশ। শাসক দলের অন্যতম মাথা এবং রাজ্যের মন্ত্রী কে লকাপে ঢোকানের সাহস দেখায়নি কেউ। বাইরের চেয়ারে বসে রইলেন তিনি। চেয়ারে বসেই মাঝে মাঝে তন্দ্রায় ঢুলে পড়েছেন তিনি। নরম বিছানা বদলে শীতের রাতে সঙ্গী ছিল পরনের শাল। এর মাঝেই পুলিশ কর্মীরা বারে বারে জিজ্ঞাসা করেছেন খাবার নিয়ে। কিন্তু কোনও কিছুই খেতে চাননি তিনি। এমনকি বাড়ির আনা খাবারও খেতে অস্বীকার করেন তিনি। পরে অবশ্য এক কাপ লিকার চায়ে কয়েক চুমুক দিয়েছেন। অন্যন্য দিনের মত রাতে ঘুমের ওষুধটাও খাননি।
সকাল-৬টা ১২
চেয়ারে বসেই সারা রাত কাটানোর পর সকালে ফের হাজির সিবিআই অফিসাররা । জেরার জন্য ফের নিয়ে যাওয়া হল সিজিও কমপ্লেক্সে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, গ্রেফতারের পর কার্যতই ভেঙে পড়েছেন মন্ত্রী। শুক্রবার সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকার সময়েও যে ভাবভঙ্গি ছিল কয়েক ঘন্টার মধ্যেই তা পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল। মদন মিত্রের হঠাত্ চুপ করে যাওয়াতে একসময় চিন্তিত হয়ে পড়েন সিবিআই অফিসাররা। তবে গ্রেফতারের প্রথম রাতেই মন্ত্রী চুপচাপ থাকলে রীতিমত ঘুম ছুটেছিল তাঁর পাহারায় থাকা পুলিশ কর্মীদের। প্রশ্ন উঠেছে প্রথম রাতে লকাপে না ঢোকালেও পরের রাতগুলোতে কি হবে?