ষষ্ঠীর আড্ডা: থিম বনাম সাবেকিয়ানা
থিম বনাম সাবেকিয়ানা। হাল ফ্যাশনের দুর্গাপুজোর সবচেয়ে বড় বিতর্ক আর আকর্ষণ। বিতর্কটা শুধু আঙ্গিক আর শৈলিতেই থেমে নেই। কলকাতা শহরটাই ভাগ হয়ে গিয়েছে এই টানাটানিতে। উত্তর মানেই সাবেকিয়ানার আভিজাত্য আর দক্ষিণে হল থিমের সমারোহ।
থিম বনাম সাবেকিয়ানা। হাল ফ্যাশনের দুর্গাপুজোর সবচেয়ে বড় বিতর্ক আর আকর্ষণ। বিতর্কটা শুধু আঙ্গিক আর শৈলিতেই থেমে নেই। কলকাতা শহরটাই ভাগ হয়ে গিয়েছে এই টানাটানিতে। উত্তর মানেই সাবেকিয়ানার আভিজাত্য আর দক্ষিণে হল থিমের সমারোহ।
এই ভাগাভাগি দেখলে মনে হতে পারে, ঊনবিংশ শতাব্দীর কথা। পেশার ভিত্তিতে যে ভাবে উত্তর কলকাতার বহু এলাকা ভাগ হয়ে গিয়েছিল অসংখ্য টুকরোয়, শাসক আর শাসিতের শহরে যে ভাবে আঁকা হয়ে গিয়েছিল অদৃশ্য লক্ষ্মণরেখা, ঠিক সে ভাবে না হলেও আমাদের উত্তরাধুনিক কল্লোলিনী তিলোত্তমা এখন দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে অনেকটা যেন সে ভাবেই বিভাজিত। তবে দু`টুকরোয়: থিম আর সাবেকিয়ানায়। এটুকুই যা ভরসা। তার কারণও হয়তো নিহিত হঠাত্ ধেয়ে আসা নব্য বাজারব্যবস্থায়। যে ভাবে নতুন নতুন সংস্থাগুলি দক্ষিণ কলকাতায় আস্তানা গেড়ে বসছে, তাতে এই অংশের মানসিকতায় সাবেকিয়ানা না থাকাটাই স্বাভাবিক। পুজোর অছিলায় `পরীক্ষা`, ফলে আরও আরও বি়জ্ঞাপনে-মুখ-ঢেকে-যাওয়া। আরও প্রচার, জনপ্রিয়তা এবং আরও জনজোয়ার। উত্তরে স্থান সংকুলান হয় না। নতুন বিপণির ঠাঁইও কম। তা ছাড়া, ঐতিহ্যের জাত্যভিমান এখনও আষ্টেপৃষ্ঠে ছেয়ে আছে উত্তর কলকাতার অলিতে-গলিতে। নতুন এখানে আত্মীয় হয় অনেক যাচাইয়ের পর। তাই সাবেকিয়ানার স্মৃতিমেদুরতায় অনেক বেশি আচ্ছন্ন উত্তরের কলকাতা।
আপনিও কি এই মতামতগুলির সঙ্গে একমত? অংশ গ্রহণ করুন পুজোর তর্কে।