শহিদ দিবসের চ্যালেঞ্জ, ২০১৯-এ দেশ থেকে বড়দা বিদায় হবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
ওয়েব ডেস্ক: একদিকে উত্তপ্ত পাহাড়। অন্যদিকে বাদুড়িয়া-বসিরহাটের অশান্তি। এই রকম পরিস্থিতিতে আজ ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বার্তা দেন, সেদিকে নজর ছিল সবারই। বিজেপিকে একহাত নিয়ে 'সুর'টা অবশ্য বেঁধে দেন কবীর সুমন, নচিকেতা।
সরাসরি নাম করে কবীর সুমন বলেন, "বিজেপি মূর্খ। বুদ্ধিসুদ্ধি কম। ওরা বেশিদিন থাকবে না। ওদের উপর বেশি গুরুত্ব দেবেন না। ওদের উপর রাগ করবেন না। ওদের উপর রাগলে, রাগ নষ্ট। ওদের আটকে দেবেন। ওরা চলে যাবে।" 'হিন্দুত্বের' জিগির তুলে ওরা শুধু 'ক্ষমতার লিপ্সায় লালায়িত' বলেও মন্তব্য করেন কবীর সুমন। "বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলির কথায় কথায় ধর্ষণ হয়," বলেও কটাক্ষ করেন প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ।
আজ ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ ঘিরে ধর্মতলা কানায় কানায় পূর্ণ। বক্তব্য রাখতে উঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমেই বলেন, "জনগণের ভিড় আজ জনবিপ্লব হয়ে গেছে।" ঘোষণা করেন, "আগামী বছর ২১ জুলাইয়ের ২৫ বছর পূর্তি। আগামী বছর থেকে ২১ জুলাই 'অঙ্গীকার দিবস' হিসেবে পালিত হবে।" কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের "আঠারো বছর বয়স"-কে উদ্ধৃত করে কোনও 'বাইরের শক্তির কাছে মাথা না নোওয়ানোর' বার্তা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সরাসরি কেন্দ্র ও বিজেপিকে একহাত নিয়ে প্রথম থেকেই আজ চড়া সুরে শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একুশে জলাইয়ের মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, "ভারতে ইমার্জেন্সি চলছে, সাধারণ মানুষের বাঁচার অধিকার খর্ব হচ্ছে।" মন্তব্য করেন, "সারদা, নারদা করে তৃণমূলকে ভয় পাওয়ানো যাবে না।" তোপ দাগেন, "নোটবন্দি, GST নিয়ে বললেই CBI, ED-র ভয় দেখানো হচ্ছে।" বলেন, "গোরক্ষকের নামে গোরাক্ষস তৈরি হয়েছে দেশে।" ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে ভারত থেকে 'বড়দা বিদায়'-এর ডাক দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তোপ দাগেন, "ফেসবুক ফেকবুক হয়ে গেছে।" সোশ্যাল মিডিয়ায় 'নজরদারি' রাখার দায়িত্ব নেওয়ার কথাও বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
২১ জুলাইয়ের মঞ্চে আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন অভিনেত্রী ইন্দ্রাণী হালদার, প্রণতি ঠাকুর, সুতপা ব্যানার্জি।
আরও পড়ুন, 'রূপার কথায় কথায় ধর্ষণ', কটাক্ষ কবীর সুমনের! একুশের মঞ্চে বিঁধলেন বিজেপিকেও