লাল টকটকে আপেল, কাশ্মীরের ৫ শ্রমিক হত্যায় প্রশ্ন তুলে কবিতা লিখলেন মমতা
কাশ্মীরে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তদন্তের দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সুতপা সেন: কাশ্মীরে রাজ্যের ৫ শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 'প্রশ্নচিহ্ন' রেখেই এবার কলম ধরলেন। লিখে ফেললেন কবিতা। কবিতার ছত্রে ছত্রে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছেন, ওরা নিরীহ শ্রমিক। টাকার জন্য কাজে গিয়েছিলেন। কেন ওদের মারার দরকার হল?
রাজ্য প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার ঘরে ফিরেছেন কাশ্মীরে থাকা বাঙালি শ্রমিকরা। ডাউন কলকাতা-জম্মু তাওয়াই ট্রেনে ফেরা ১৩৮ শ্রমিকেদর জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের এককালীন ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে রাজ্য সরকার।
কাশ্মীর
কেন ঝরলো এত রক্ত?
নিষ্পাপ শ্রমিকদের,
ফুল সামগ্রীর সম্ভার কাশ্মীরি উপত্যকায়?
কারা আছে এর পশ্চাতে?
কোন অপরাধী তো তারা নয়?
শ্রমের বিনিময়ে কাজ করবার
উত্সাহ ছিল তাদের।
বরাবর তারা এভাবেই কাজ করেছে
তাদের প্রিয় কাশ্মীর সুন্দরিণীতে,
তবে আজ কি হল?
আপল-এর বাগানগুলোতে
ওরা তো আপেল-এর সাথে
ওদের খেলাতে মগ্ন ছিল।
লাল টকটকে আপেল
ওদের রক্তে লাল থেকে
হয়ে গেল কালো বিদীর্ণ!
তবে কি আজ ওদের দেখার কেউ নেই?
ভগ্ন হৃদয়ে ফিরে এল কফিন
জীবন্ত মানুষগুলো আর ফিরল না।
আর কোন দিনই ওরা ফিরবে না।
তবে কি আতঙ্ক গ্রাস করল
আমাদের স্বর্গভূমি কাশ্মীরকে?
কাশ্মীরে শ্রমিক হত্যার ঘটনায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তদন্তের দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, ''এটা পূর্বপরকিল্পত খুন। আজই ওরা কাশ্মীর থেকে চলে আসত। নৃশংসভাবে খুন করা হল। কাশ্মীরে কোনও রাজনৈতিক দল নেই। প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ প্রশাসন কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। সুরক্ষা ব্যবস্থাও জোরদার। তা সত্ত্বেও কীভাবে খুন করা শ্রমিকদের? আমি স্তম্ভিত ও ব্যথিত।''
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন,''নৃশংসভাবে খুন করা হল। কাশ্মীরে রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ড নেই। কোনও সাংবাদিক নেই। সাংসদরাও যেতে পারেন না। কেউ কাজ করতে গিয়েছিল, তাহলে খুন করার দরকার কী ছিল? ইউরোপীয়ান প্রতিনিধি দল এসেছিল ঠিক তখনই খুন করা হল। তদন্ত হওয়া উচিত।''
আরও পড়ুন- রাজ্যপালের নাম না নিয়ে বাইরের লোক থেকে উপাচার্যদের সতর্ক করলেন মমতা