বরফ গলাতে মহাশ্বেতার বাড়িতে মমতা
মহাশ্বেতা দেবীর বাড়িতে গিয়ে লেখিকাকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ সাড়ে ন মাস পরে প্রবীণ লেখিকার বাড়িতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের বাড়তে থাকা দূরত্বের পরিপ্রেক্ষিতে নিঃসন্দেহে তাত্পর্যপূর্ণ শনিবার সন্ধ্যার আচমকা সফর।
মহাশ্বেতা দেবীর বাড়িতে গিয়ে লেখিকাকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘ সাড়ে ন মাস পরে প্রবীণ লেখিকার বাড়িতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনের বাড়তে থাকা দূরত্বের পরিপ্রেক্ষিতে নিঃসন্দেহে তাত্পর্যপূর্ণ শনিবার সন্ধ্যার আচমকা সফর।
মহাশ্বেতা দেবীর বাড়িতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক সময় এটা ছিল স্বাভাবিক ঘটনা। রাজ্যে পরিবর্তনের লড়াইয়ে মহাশ্বেতা দেবী ছিলেন তৃণমূল নেত্রীর অন্যতম পরামর্শদাতা। ক্ষমতায় আসার পরেও লেখিকার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সম্পর্কের ভিতটা নড়েনি। বিদ্রোহী সাংসদ কবীর সুমনকে বোঝাতে মহাশ্বেতা দেবীকেই মধ্যস্থতার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। ২০১১-য় একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের মঞ্চেও ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। কিন্তু তারপরে জল অনেক গড়িয়েছে। সরকারি গ্রন্থাগারে সরকার নির্দিষ্ট সংবাদপত্র রাখার নির্দেশিকা ঘিরে প্রকাশ্যে সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মহাশ্বেতা দেবী।
এক সময়ের পরামর্শদাতার নাম না করে পাল্টা মুখ খোলেন মুখ্যমন্ত্রীও। সরকারের সঙ্গে বিতর্কে বাংলা আকাদেমির চেয়ারপার্সনের পদও ছেড়ে দেন প্রবীণ লেখিকা। তাঁর ঘণিষ্ঠ বলে পরিচিত কবীর সুমন তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ধারটা আরও বাড়ান। ঠিক এরকম একটা অবস্থায় শনিবার আচমকাই মহাশ্বেতা দেবীর বাড়িতে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গেলেন দীর্ঘ সাড়ে ন মাস পরে।
অর্থাত্ সরকার সম্পর্কে সুর খানিকটা নরম মহাশ্বেতা দেবীর। তবে কি সম্পর্কের বরফ গলার ইঙ্গিত দিল শনিবারের সন্ধ্যা?