নাম না করে মুকুলকে কড়া বার্তা, শুভ্রাংশুর দায়িত্বে থাকা কল্যাণীর ভোট কমায় ক্ষোভ মমতার

ওয়েব ডেস্ক: নাম না করে মুকুল রায়কে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিষদীয় দলের বৈঠকে কল্যাণী বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট কমা নিয়ে আজ ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কল্যানীতে অন্তর্ঘাত ঘটেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
খাতায় কলমে তিনি বিধানসভার সদস্য নন। কিন্তু, অধিবেশন শুরু হলে প্রায়ই বিধানসভা চত্বরে দেখা যেত মুকুল রায়কে। দলের সাংগঠনিক বৈঠক হোক কিংবা জেলার নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা। অধিবেশনের ফাঁকে সেসব সেরে নিতেন মুকুল রায়। বৃহস্পতিবার শুরু হল বিধানসভার বাজেট অধিবেশন। এবার তিনি নেই। মুকুল রায় এখন দিল্লিতে। দলনেত্রীর সঙ্গেও তাঁর যোজন দূরত্ব। তবুও, বাজেট অধিবেশনের প্রথমদিনে বিধানসভায় এড়ানো গেল না মুকুল প্রসঙ্গ। দলীয় বিধায়কদের নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকেও ভীষণভাবেই রয়ে গেলেন তিনি। বনগাঁ ও কৃষ্ণগঞ্জে দুই জয়ী প্রার্থীকে নিয়ে এদিন বিধানসভা ভবনে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুই কেন্দ্রে জয়ে উচ্ছ্বসিত মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে অভিনন্দন জানান দুই প্রার্থীকে। তারপরই সোজা চলে আসেন বনগাঁ ভোট প্রসঙ্গে। তিনি বলেন,"কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা বনগাঁর জয় পেয়েছি। আমাদের দল অনেক শক্তিশালী। কেউ আঘাত করার চেষ্টা করলে আমরা বাঘের মতো আঁচড়ে দিতে পারি। দলকে কেউ দুর্বল করতে পারবে না।'
বনগাঁর সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়ের দায়িত্বে থাকা কল্যাণীতে ভোট কমায় তিনি যে অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ তা স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,"কল্যাণীতে আমাদের ভোট কমেছে। কোনও অন্তর্ঘাত আছে কিনা খতিয়ে দেখতে হবে। গৌরীশঙ্কর দত্ত ও বানী রায় বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। দরকার হলে উঃ ২৪ পরগনার ছেলেরা তাদের সাহায্য করবে'।
মুখ্যমন্ত্রী যখন বিধায়কদের কড়া বার্তা দিচ্ছেন, তখন উপস্থিত মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। ছিলেন মুকুল অনুগামী বলে পরিচিত শিউলি সাহাও। আর ছিল জল্পনা। জল্পনা দিল্লিতে বসে কি স্ট্রাটেজি সাজাচ্ছেন মুকুল রায়? কেউ মনে করেছেন বিজেপিতে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। কারোর মত আলাদা দলই গড়বেন। আরেকপক্ষের মত, এখনই দল না গড়ে, তৃণমূলেই মাথা গুঁজে থাকবেন। শেষপর্যন্ত মুকুল রায়ের কোনপথে হাঁটবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। কিন্তু, এটা স্পষ্ট যে মুকুলকে ছাড়াই এবার থেকে চলতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আর সেই পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।