ভবানীপুরে জয় মুখ্যমন্ত্রীর
ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বড় মাপের ব্যবধানে জিতলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের নন্দিনী মুখোপাধ্যায়কে হেলায় হারালেন তিনি। জয়ের ব্যবধান ৫৪ হাজার ২১৩।ভবানীপুরে কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৪৬শতাংশের কাছাকাছি। ওই ভোটের সিংহভাগই গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝুলিতে।
জভবানীপুর কেন্দ্র থেকে বড় মাপের ব্যবধানে জিতলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সিপিআইএমের নন্দিনী মুখোপাধ্যায়কে হেলায় হারালেন তিনি। জয়ের ব্যবধান ৫৪ হাজার ২১৩। ভবানীপুরে কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল ৪৬শতাংশের কাছাকাছি। ওই ভোটের সিংহভাগই গেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঝুলিতে। প্রাপ্ত ভোটের ৭৮ শতাংশ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই জয়কে তাঁর সরকারের সাফল্য হিসেবেই দেখছেন তিনি।
২৫ সেপ্টেম্বর ছিল ভবানীপুর এবং উত্তর বসিরহাট কেন্দ্রের উপ নির্বাচন। একে রবিরার তার ওপর দিনভর বৃষ্টি, খারাপ আবহাওয়ার কারণে ভোট অনেকটাই কম পড়েছিল সেদিন। তাই জয়ের ব্যবধান কমবে এমন আশঙ্কা ছিল তৃণমূল শিবির থেকেও। কিন্তু কার্যত দেখা গেল পরিবর্তনের ঝড়ের কোনও বদল ঘটেনি। ভবানীপুরের সাধারণ মানুষের সমর্থন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা ঘাসফুলের দিকেই।
লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন বারবার। ২০ ০ ৯-এর লোকসভা ভোটে দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন ২ লক্ষেরও বেশি ভোটে। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে কখনও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমবারই বিধানসভার উপনির্বাচনে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে রেকর্ড মার্জিনে জয়ী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্ত্রী সুব্রত বক্সীকে সরিয়ে ভবানীপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথম দিন থেকেই তাঁর জয় নিয়ে সংশয় ছিল না কোনও মহলেই। শুধুমাত্র কৌতুহল ছিল জয়ের ব্যবধান নিয়ে। সকাল থেকেই উপচে পড়া ভিড় ছিল ভোটগণনা কেন্দ্রে। জয়ের ব্যবধান বাড়তেই শুরু হয়ে যায় সবুজ আবির খেলা। তবে এই বিশাল জয়ের পরও মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন কোনওরকম বিজয় উত্সব করবেন না তিনি। দলীয় কর্মীদের শান্ত ও সংযত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।