রেজ্জাকের ইফাতার আমন্ত্রণে মুকুল, সংখ্যালঘুদের নিয়ে নয়া রাজনৈতিক সমীকরণের ইঙ্গিত
১৪ জুলাই রেজ্জাক মোল্লার ইফতার পার্টিতে আমন্ত্রিত হতে চলেছেন মুকুল রায়। এবং আমন্ত্রণ পেলে যাওয়ার জন্যও তৈরি তিনি। দুই শিবিরের দুই প্রাক্তন হেভিওয়েটের প্ল্যানিং-এ এবার কোন পলিটিকাল ইকুয়েশন? অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল।
ওয়েব ডেস্ক: ১৪ জুলাই রেজ্জাক মোল্লার ইফতার পার্টিতে আমন্ত্রিত হতে চলেছেন মুকুল রায়। এবং আমন্ত্রণ পেলে যাওয়ার জন্যও তৈরি তিনি। দুই শিবিরের দুই প্রাক্তন হেভিওয়েটের প্ল্যানিং-এ এবার কোন পলিটিকাল ইকুয়েশন? অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল।
রেজ্জাক মোল্লা ও মুকুল রায়। রাজ্য রাজনীতির দুই হেভিওয়েট। কিন্তু দুজনেরই সময়টা ভাল যাচ্ছে না।
বাম জমানায় ভূমি রাজস্ব মন্ত্রী ও ভাঙড় এলাকায় দাপুটে সিপিএম নেতা ছিলেন রেজ্জাক। সিপিএম বহিষ্কার করার পর রাজনৈতিক মঞ্চ গড়েছেন তিনি।
কদিন আগেও তৃণমূলের অলিখিত নাম্বার টু ছিলেন মুকুল রায়। সারদায় সিবিআই তদন্তে সন্দেহজনক অবস্থানের জেরে সব পদ খুইয়ে আপাতত দলে কোণঠাসা তিনি। প্রাক্তন হেভিওয়েট, এখন কোণঠাসা এই দুই নেতাই এবার আসছেন একমঞ্চে। ১৪ জুলাই হজ হাউসে ইফতার পার্টি দিচ্ছেন রেজ্জাক মোল্লা। আমন্ত্রণ জানাবেন মুকুল রায়কেও। রেজ্জাক জানিয়েছেন,
ইফতার পার্টিতে তিনি অবশ্যই মুকুল রায়কে আসতে বলবেন। মুকুল রায়ও জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ পেলে অবশ্যই রেজ্জাক মোল্লার ইফতার পার্টিতে যাবেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে নেহাতই সাংস্কৃতিক সৌজন্য। তবে রাজনৈতিক কারবারিরা বলছেন ইদানিং ইফতার পার্টির গুরুত্ব অনেক।
ইফতার-সমান্তরাল মঞ্চ?
২৮ জুন নিজাম প্যালেসে এক মুকুল ঘনিষ্ঠের ইফতার পার্টি কার্যত হয়ে উঠেছিল সমান্তরাল রাজনীতির মঞ্চ। পার্টিতে যোগ দিয়ে দল থেকে সাসপেন্ড হন মুকুল ঘনিষ্ঠ দুই বিধায়ক শিউলি সাহা ও শীলভদ্র দত্ত। রেজ্জাকের ইফতারেও তাঁরা আমন্ত্রিত। আমন্ত্রণ জানানো হবে কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রকেও।
ইফতার-সংখ্যালঘু রাজনীতি?
ইফতারকে ঘিরে সংখ্যালঘু রাজনীতির সমীকরণও উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে ধস নামানোই মুকুল রায়ের লক্ষ্য বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। আটই জুলাই তাঁর ফুরফুরা শরিফ সফর সেই জল্পনাকেই ইন্ধন দিচ্ছে। আবার রেজ্জাক মোল্লার মঞ্চও, সংখ্যালঘুদের দাবিদাওয়া নিয়ে সরব। একমঞ্চে দুই চাপে থাকা নেতার উপস্থিতিতে কোন সমীকরণ গড়ে ওঠে সেদিকে কৌতুহল নিয়েই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।