Kolkata Municipality: কলকাতা পুরসভার ভাঁড়ে মা ভবানী, বকেয়া কর আদায়ে মাঠে নামছেন পুর আধিকারিকরা
ই মূহুর্তে কলকাতা পুরসভার ভাঁড়ারের হার বেশ খারাপ। কর বাকী পড়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা

দেবারতি ঘোষ: কলকাতা পুরসভার আর্থিক হাল খারাপ। তাই এবার বকেয়া পুর সম্পত্তি কর তুলতে হবে মাঠে নেমে। এমনই নির্দেশ দিলেন পুর কমিশনার। কাদের সঙ্গে কথা বলে কীভাবে টাকা আদায় করতে হবে সেই নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, মে মাসের শেষ সপ্তাহে একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল পুর কমিশনার। সেই নির্দেশিকায় ওই বকেয়া কর আদায়ের কথা বলা হয়েছে। এর আগে কলকাতা পুরসভায় যাদের কাছে কর বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা বকেয়া পড়ে ছিল তাদের কাছে গিয়েছেন পুরসভার আধিকারিকরা। এবার আর সেরকম নয়। বকেয়া কর আদায়ে মাঠ নামতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কোনও নরম মনোভাব নয়, কড়া হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
ওই নির্দেশিকায় বলা হচ্ছে, ১ কোটি টাকার বেশি যাদের কর বাকী রয়েছে তাদের কাছে সরাসরি যাবেন ম্যানেজাররা। তারা যে কোনও উপায়ে কর বাবদ টাকা আদায় করবেন। ২৫ লাখ টাকার উপরে যাদের কর বাকী রয়েছে তাদের কাছে যাবেন এরিয়া ম্য়ানেজাররা।
পুরসভা সূত্রে খবর, এই মূহুর্তে কলকাতা পুরসভার ভাঁড়ারের হার বেশ খারাপ। কর বাকী পড়ে রয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। পরিসংখ্যান অনুযায়ী মধ্যবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তরা ঠিক সময়ে পুরসভাকে কর দিয়ে দেন। কিন্তু শহরের যারা ধনী তাদের অনেকেই সময়মতো কর দেন না। এরকম অনেকেরই ২০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা পর্যন্ত কর বাকী পড়ে রয়েছে। যাদের কাছে অনুনয় বিনয় করেও কর আদায় করা যাচ্ছে না তাদের সম্পত্তি সিল করা বা ক্রোক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু রোডে এরকমই একটি সম্পত্তির ক্রোক করেছে পুরসভা। এখন ভাঁড়ারের হাল খারাপ। তাই অনেক কড়া হতে নির্দেশ দিল কমিশন। পড়ে থাকা করের সিংহভাগ ঘরে তুলতে হবে আগামী এক বছরের মধ্যে।
আরও পড়ুন-৭৫ জন পরে নামেও চাকরি এসএসসি-তে? বাতিলের কড়া নির্দেশ হাইকোর্টের