বেআইনি দখলে কর্মী আবাসনের ৬০ শতাংশ, নথি নেই পুরসভার হাতে
বেআইনি ভাবে দখল হয়ে রয়েছে পুরসভার কর্মী আবাসনগুলির ৬০ শতাংশ। কারা রয়েছেন ওই ৭০টি আবাসনে? তার কোনও নথি নেই পুরসভার হাতে। নয়ের দশকে একবার সমীক্ষার কাজ শুরু হলেও রাজনৈতিক চাপে তা সম্পূর্ণ করা যায়নি। ফলে পরিকাঠামো আর বিদ্যুত্ বিল বাবদ প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা গুনতে হচ্ছে পুরসভাকে। বেআইনি দখলদারদের হটাতে পুরসভা যে অসহায় তা মেনে নিয়েছেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ও।
এই মুহূর্তে ছোট বড় মিলিয়ে কলকাতা পুরসভার সত্তরটির বেশি আবাসন রয়েছে। গ্রুপ এ, বি , সি ও ডি কর্মীরা সামান্য টাকার বিনিময়ে এই আবাসনে থাকতে পারেন। প্রতি গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাড়া দিতে হয় মাসে পঁচাত্তর টাকা। পরিবার নিয়ে থাকলে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা ভাড়া পড়ে। এ, বি ও সি গ্রুপের কর্মীদের বেতনের পনের শতাংশ বাড়ি ভাড়ার জন্য নেওয়া হয়। গ্রুপ ডি কর্মীদের থেকে অবশ্য বিদ্যুত্ বিল বাবদ কিছুই নেওয়া হয় না। গ্রুপ সি কর্মীদের মাসে দুশ পঁচিশ টাকা করে বিদ্যুত্ বিল দিতে হয়। গ্রুপ এ ও গ্রুপ বি কর্মীদের বিদ্যুত বিল দিতে হয় মাসে পাঁচশ টাকা। প্রতিটি আবাসনে ২০০ থেকে ৩০০ ঘর রয়েছে। পুরসভার নথি অনুসারে দু হাজার পরিবার এই আবাসনগুলিতে থাকেন। তবে আবাসনগুলির ষাট শতাংশ ঘরই এখন বেআইনি দখলদারদের কবজায়। দখল হয়ে রয়েছে গ্রুপ ডি কর্মীদের অধিকাংশ ঘর। কার নামে কোন ঘর বরাদ্দ, তাঁর কোনও রেজিস্ট্রারই নেই পুরসভার হাতে। প্রায় কুড়ি বছর কোনও সমীক্ষাও হয়নি।
আবাসনের রক্ষণাবেক্ষণ, বিদ্যুত্ বিল বাবদ পুরসভার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে। তবে ভাড়া বাবদ সেই টাকা উঠছে না বলে জানিয়েছে পুরসভার অর্থ বিভাগ। কোনও কোনও আবসনে দখলদারির পাশাপাশি উঠছে অসামাজিক কাজের অভিযোগও। পুরনো বাসিন্দাদের তো সরানো যাচ্ছেই না, তথ্যের অভাবে নতুন করে কোনও কর্মীকে ঘর বর়াদ্দ করা যাচ্ছে না বলে খবর পুরসভা সূত্রে। এই নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছিলেন পুর কমিশনার। তবে তাতেও লাভ হয়নি। পুরসভা যে গোটা বিষয়টিতে অসহায় মানছেন মেয়রও