হতে পারে সন্ত্রাসবাদী হামলা, বাড়তি নিরাপত্তার জন্য ৩০ লক্ষ টাকায় ৯০টি সিসিটিভি বসবে নবান্নতে
কড়া নজরদারির ঘেরাটোপে নবান্ন। তিরিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বসছে নব্বইটি সিসিটিভি ক্যামেরা। রাজ্য সচিবালয়ের প্রতিটি তলাই এবার নজরদারির আওতায়। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারি কর্মী এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে সরকার।
ওয়েব ডেস্ক: কড়া নজরদারির ঘেরাটোপে নবান্ন। তিরিশ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বসছে নব্বইটি সিসিটিভি ক্যামেরা। রাজ্য সচিবালয়ের প্রতিটি তলাই এবার নজরদারির আওতায়। বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারি কর্মী এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে সরকার।
নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে এবার সিসিটিভির নজরদারিতে মুড়ে ফেলা হচ্ছে গোটা নবান্ন।
আগে শুধুমাত্র চোদ্দ ও পনেরো তলায় ছটি করে সিসিটিভি ছিল। সিসিটিভির নজরদারি ছিল নবান্নের মূল ফটকেও।পনেরো তলায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী। রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়। চোদ্দতলায় বসেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব এবং ডিজি। এবার নবান্নের প্রত্যেক তলা এবং আশপাশের অন্য গেটগুলিতেও বসবে সিসিটিভি। কেনা হচ্ছে নব্বইটি সিসিটিভি। খরচ হচ্ছে তিরিশ লক্ষ টাকা।
হঠাত্ সিসিটিভি বলয়ের এই তোড়জোড় কেন? নবান্ন সূত্রে খবর, গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, যে কোনও সময় মাওবাদী বা সন্ত্রাসবাদী হানা ঘটতে পারে রাজ্যের মূল প্রশাসনিক ভবনে। সে কারণেই নজরদারির এই কড়াকড়ি। কর্মচারী মহলের একাংশ অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের বক্তব্য, দুহাজার বারোয় কর্মচারী আন্দোলন বন্ধ করার জন্য রীতিমতো বিজ্ঞপ্তি জারি করেন মুখ্যসচিব। এবার সেই কর্মীদের গতিবিধির ওপর নজরদারি বাড়াতেই নবান্নের এই সিদ্ধান্ত। বাম আমলে মহাকরণেও সিসিটিভির এত কড়াকড়ি ছিল না। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরের সামনে এবং ভিআইপি গেটেই শুধুমাত্র ছিল ক্যামেরার নজরদারি। তাহলে হঠাত্ নবান্ন ব্যতিক্রম কেন? বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারি কর্মচারী এবং সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করতে চাইছে সরকার।