বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার শুরু করল নবান্ন
বুলবুল ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের ৬টি জেলার প্রায় ১৪ লক্ষ ৯০ হাজার হেক্টর জমির আংশিক অথবা সম্পূর্ণ ফসল।
সুতপা সেন: বুলবুলের কারণে রাজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকার ফসল। প্রতিশ্রুতি মতো কৃষকদের আর্থিক সাহায্য দিতে শুরু করল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ডিসেম্বরের মধ্যেই সমস্ত কৃষকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে সাহায্য। সেই মতো যুদ্ধকালীন তত্পরতায় কাজ করছে প্রশাসন।
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, বুলবুল বিধ্বস্ত ৬টি জেলার কৃষকদের হাতে ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দেওয়া হবে। একজন কৃষক একর প্রতি সাড়ে ১৩ হাজার টাকা করে সর্বোচ্চ ২৭ হাজার টাকা পেতে পাবেন। তবে এক একরের কম জমি হলে জমির পরিমাণ অনুযায়ী, সর্বনিম্ন ১ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া হবে।
বুলবুল ঝড়ে ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের ৬টি জেলার প্রায় ১৪ লক্ষ ৯০ হাজার হেক্টর জমির আংশিক অথবা সম্পূর্ণ ফসল। আর্থিক মূল্য প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। যে সব কৃষকের "কৃষকবন্ধু" প্রকল্পে কার্ড রয়েছে, তাঁরা ক্ষতিপূরণের পাশাপাশি অতিরিক্ত আড়াই হাজার টাকা করে পাবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, আর্থিক সাহায্য ডিসেম্বরের মধ্যেই পৌঁছে দিতে হবে কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। সেই মতো অর্থের বণ্টনও শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন।
বুলবুলে ঝড়ে আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে ইতিমধ্যেই তুঙ্গে কেন্দ্র-রাজ্য বিবাদ। বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'বুলবুলের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করে কেন্দ্রীয় দল। ঝড়ের পরের দিন টুইটও করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনওরকম কোনও সাহায্য মেলেনি। লেটস হোপ ফর দ্য বেস্ট।'' রাজ্যসভায় মমতার দাবি খণ্ডন করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই লিখিতভাবে জানিয়ে দেন, ২০১৯-২০ সালে ৪১৪ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গকে। পশ্চিমবঙ্গের আপৎকালীন মোকাবিলায় যে তহবিল রয়েছে, সেই তহবিলে কেন্দ্রের যে অংশীদারিত্ব রয়েছে, তাতেই দেওয়া হয়েছে ওই টাকা।
আরও পড়ুন- বাড়িতে টাকা রাখলে আসছে ইডি-সিবিআই, ব্যাঙ্কে গ্যারান্টি নেই: মমতা