জোকা মেট্রো প্রকল্পে চালু হচ্ছে বাজ টানার নয়া প্রযুক্তি
এ দেশে বজ্র নিরোধক ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন হচ্ছে। আর বজ্র দণ্ড নয়। এবার আসছে রোলিং স্পিয়ার পদ্ধতি। এই নয়া ব্যবস্থা বিদেশে ইতিমধ্যেই কার্যকরী হয়েছে। জোকা মেট্রোর হাত ধরে এই প্রথম রেলে এই নয়া ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
ওয়েব ডেস্ক: এ দেশে বজ্র নিরোধক ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন হচ্ছে। আর বজ্র দণ্ড নয়। এবার আসছে রোলিং স্পিয়ার পদ্ধতি। এই নয়া ব্যবস্থা বিদেশে ইতিমধ্যেই কার্যকরী হয়েছে। জোকা মেট্রোর হাত ধরে এই প্রথম রেলে এই নয়া ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
ষাট ডিগ্রি অ্যাঙ্গেলে বজ্র দণ্ড দাঁড় করিয়ে দিলেই হবে। বাজ পড়লে সেই বাজ টেনে নেবে এই দণ্ড। এতদিন পর্যন্ত এটাই আমরা সকলেই জেনে এসেছি। কিন্তু কয়েক বছর আগে বিদেশে দেখা যায়,
২০ মিটারের বেশি উচ্চতায় বজ্র দণ্ড কাজ করে না। এরপরই নীতি বদলায় ইউরোপ এবং আমেরিকার দেশগুলি।
বাজ টানার নয়া প্রযুক্তি রোলিং স্পিয়ার
কী এই নয়া ব্যবস্থা?
অনেকগুলি লোহার পাত মাটির নীচে নামবে। মাটির নীচে থাকবে একাধিক গোলাকৃতি বস্তু। তার মধ্যে বিদ্যুত্টা ভেঙে ভেঙে যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক সেকেন্ডের কয়েক ভগ্নাংশে এক এক ন্যানো সেকেন্ডে যদি বিদ্যুত ভেঙে দেওয়া যায়, তাহলে বাজ থেকে ভয়াবহ ক্ষতির আর কোনও সম্ভাবনা থাকে না।
পড়ুন- ভূমিকম্পের পর কেমন আছে কলকাতা মেট্রো?
এ দেশের রেলে প্রথম জোকা মেট্রো প্রকল্পেই এই নয়া ব্যবস্থা আসছে। রেল স্টেশন হিসেবে জোকা মেট্রো স্টেশনকেই সাজানো হচ্ছে রোলিং স্পিয়ার সিস্টেমে। প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা হচ্ছে জোকা-বিবাদী বাগ মেট্রোর প্রান্তিক স্টেশন জোকা। এই লম্বা স্টেশনকে রোলিং স্পিয়ার সিস্টেমে বজ্র নিরোধক করতে সময় লাগবে এক থেকে দেড় বছর। শুধুমাত্র স্টেশনই নয়। এর ফলে স্টেশনের আশপাশের এলাকাও হয়ে যাবে বজ্র নিরোধক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোলিং স্পিয়ার সিস্টেম চালু হলে জোকা মেট্রো স্টেশনের ৫০০ মিটার এলাকাও হয়ে যাবে বজ্র নিরোধক