করোনা সংক্রমণের নয়া রেকর্ড বাংলায়, আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজারেরও বেশি
অবিলম্বে ভোটের প্রচার করা বন্ধ করা উচিত, মত বিশেষজ্ঞদের।

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের বাংলায় সংক্রমণের নয়া রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা চার হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেল। কলকাতার অবস্থাও রীতিমতো উদ্বেগজনক। সংক্রমণের কবলে পড়েছেন হাজারেরও বেশি মানুষ। তাও আবার এবার অনেক কম সংখ্যক মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, যাঁরা পরীক্ষার আওতায় বাইরে রয়েছেন, ভাইরাসের কবলে পড়েছেন তাঁদের একটিও বড় অংশও! দ্বিতীয় দফায় আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ফিরল করোনা।
লকডাউন এখন অতীত। আট দফায় বিধানসভা ভোট চলছে বাংলায়। মিটিং-মিছিল-জমায়েতে স্বাস্থ্যবিধিকে থোড়াই কেয়ার। শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা তো দূর, কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশিরভাগ মানুষই এখন মাস্ক পড়াও ছেড়ে দিয়েছেন। আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হু হু করে।
আরও পড়ুন: West bengal election 2021: নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যে আরও ৪ বার আসবেন Modi, সোমবার ৩ জনসভা
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এর আগে ১ দিনে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল গত বছরের ২২ অক্টোবর। সংখ্যাটা ছিল ৪ হাজার ১৭২। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ-র দাপটে সেই রেকর্ড ভেঙে গেল। এবার ২৪ ঘণ্টায় কতজন আক্রান্ত হলেন? ৪ হাজার ৩৯৮। শুধু তাই নয়, অক্টোবরে যত সংখ্যক মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, এবার তার থেকে হাজার চারেক নমুনা কম পরীক্ষা করা হয়েছে! এই যখন পরিস্থিতি, তখন আবার কলকাতায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে হাসপাতাসগুলিতে শয্যা সংখ্যা কমছে। এমনকী, অনেক কোভিড হাসপাতালে কার্যত কোনও শয্যাই খালি নেই বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে গুলি খেতে হল!’ শেষকৃত্যের পর ক্ষোভে ফুঁসছে শীতলকুচি
তাহলে উপায়? রাজ্যের করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য নির্বাচনকেই দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। অবিলম্বে মিটিং, মিছিল-সহ যাবতীয় প্রচার কর্মসূচি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। পরিস্থিতি ভয়াবহ আঁচ করে চতুর্থ দফায় আগেই কিন্তু নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। বার্তা খুবই স্পষ্ট, করোনা সচেতনতায় রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রী, প্রার্থী ও যাঁরা প্রচার করছেন, তাঁদেরকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে নির্বাচনী জনসভা, মিছিল-সহ যাবতীয় কর্মসূচি বাতিলও করে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফিরবে? প্রশ্ন উঠেছে।