এমপিল্যাডে খরচের ব্যাপারে রাজ্যের ফার্স্ট বয় বনগাঁর গোবিন্দ নস্কর, সবার শেষে শতাব্দী রায়

সরকারের কাজের গতি বাড়াতে তৈরি হচ্ছে মন্ত্রীদের রিপোর্ট কার্ড। তৈরি হচ্ছে কাজের প্রশাসনিক ক্যালেন্ডারশুধুমাত্র রাজ্যের মন্ত্রীরাই নন উন্নয়নে বরাদ্দ টাকা খরচ করতে ব্যর্থ রাজ্যের সাংসদরাও। সম্প্রতি এমপিল্যাডের ডিরেক্টর ডি সাইবাবা দীর্ঘ চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রকে। চিঠির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ক্যাগের রিপোর্টও।

Updated By: Dec 23, 2013, 03:34 PM IST

সরকারের কাজের গতি বাড়াতে তৈরি হচ্ছে মন্ত্রীদের রিপোর্ট কার্ড। তৈরি হচ্ছে কাজের প্রশাসনিক ক্যালেন্ডারশুধুমাত্র রাজ্যের মন্ত্রীরাই নন উন্নয়নে বরাদ্দ টাকা খরচ করতে ব্যর্থ রাজ্যের সাংসদরাও। সম্প্রতি এমপিল্যাডের ডিরেক্টর ডি সাইবাবা দীর্ঘ চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্রকে। চিঠির সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ক্যাগের রিপোর্টও।

রিপোর্টে বলা হয়েছে--
এই মুহূর্তে এমপি ল্যাডে রাজ্যের জন্য বরাদ্দের ২০০ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা পড়ে রয়েছে।

সঞ্জয় মিত্রকে পাঠানো চিঠিতে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন টাকা খরচ করা যায়নি? আগে লোকসভা এবং রাজ্যসভা সাংসদরা তাদের এলাকা উন্নয়নের জন্য প্রতি বছর ২ কোটি টাকা করে পেতেন। ২০১১ সালে তা বেড়ে হয়েছে সাংসদ পিছু ৫ কোটি টাকা। কিন্তু বেশীরভাগ সাংসদই তা খরচ করতে পারছেন না বলে জানানো হয়েছে মুখ্যসচিবকে। কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী যে সমস্ত সাংসদদের হাতে ৪ কোটির বেশি টাকা পড়ে রয়েছে সেই তালিকার শীর্ষে রয়েছেন......বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শতাব্দী রায়। তাঁর হাতে পড়ে রয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা।

এমপিল্যাডের টাকা খরচের ব্যর্থতায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন জঙ্গিপুরের কংগ্রেস সাংসদ অভিজিত্‍ মুখোপাধ্যায়। তিনি ফেলে রেখেছেন ৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।

ব্যর্থতার তৃতীয়স্থানে রয়েছেন আরামবাগের সিপিআইএম সাংসদ শক্তিমোহন মালিক। তিনি কাজে লাগাতে ব্যর্থ ৭ কোটি ৬ লক্ষ টাকা।

দক্ষিণ কলকাতার সাংসদ সুব্রত বক্সি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হন তিনি। খরচ করতে পারেননি সাড়ে ৪ কোটি টাকা।

আরেক ডাকসাইটে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ব্যবহার করতে পারেননি ৬ কোটি ১৭ লক্ষ টাকা।

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ফেলে রেখেছেন ৫ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা।

সুলতান আহমেদ ৬ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা।

তাপস পাল ৫ কোটি টাকা।

ব্যর্থতায় বাদ নেই বিক্ষুব্ধ দুই তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদও। একজন যাদবপুরের কবীর সুমন। খরচ করতে পারেননি ৫ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। অন্যজন ডায়মন্ডহারবারের সোমেন মিত্র। ফেলে রেখেছেন ৬ কোটি টাকা।

এমপিল্যাডের টাকা খরচে এরাজ্যে শীর্ষে রয়েছেন বনগাঁর সাংসদ গোবিন্দ নস্কর। ২০ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা পেয়ে তিনি খরচ করেছেন ১৯ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা।

সাফল্যের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন দার্জিলিং থেকে নির্বাচিত বিজেপির জসবন্ত সিং। তাঁর হাতে পড়ে আছে মাত্র ১ কোটি।

সাফল্যের তৃতীয়স্থানে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী।

.