পরিমলের প্রতিমার প্রশংসা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী
“শিল্প রসে যে যেটুকু নিয়ে থাকতে ভালবাসে তিনি সেটা নিয়েই থাকেন। কেউ রঙ ভালবাসেন, কেউ আলো কেউ কেউ সৃজনশীল কাঠামো। আমারও নিজস্ব ভাবনা রয়েছে। সেটা দিয়েই এতদিন কাজ করছি, আগামীতেও করব”...
কলকাতা: তাঁর ঘরে থরে থরে সাজানো ট্রফি। শারদোত্সবের হেন কোনও পুরস্কার বাকি নেই, যা তিনি পাননি। গত বছরই নলিন সরকার স্ট্রিট আর কুমোরটুলি সর্বজনীনের পুজোয় সৃজনের শীর্ষ ছুঁয়ে একের পর এক জিতেছেন। এবছরও তাঁর ট্রফি জয় কার্যত নিশ্চিত। কুমোরটলি-তে দাঁড়িয়েই কুমোরটুলি-কে থিম করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন পরিমল পাল। এবার সেখানেই তাঁর শিল্প ভাবনা ‘মাটির ফিসফাস’। সঙ্গে রয়েছে বাদামতলা আষাঢ় সংঘে পুজো ‘সব চরিত্র কাল্পনিক’।
* পুজো উদ্বোধনে থিম ভাবনা নিয়ে শিল্পীর ওপর চরম ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী!
এখানে যেমন স্থান পয়েছে মাদার টেরেসার কালজয়ী কৃতিত্ব, তেমনি জায়গা করে নিয়েছে ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব দীপা কর্মকার ও হিমা দাসেদের নাছোড়বান্দা লড়াইয়ের গল্পও। একই সঙ্গে দেখানো হয়েছে মানুষ কত অসহায়। রাষ্ট্র ক্ষমতার কাছে তাঁদের ক্ষমতা একটা লিলিপুটের থেকেও কম। আর্ট কলেজের প্রাক্তনী তাঁর এই ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য নিয়েছেন আধার কার্ডের। মণ্ডপসজ্জায় আধার কার্ড-কে এক একটা মানুষের সঙ্গে তুলনা করেছেন পরিমল বাবু। শিল্পী বলছেন, “সাম্প্রতিক সময়ে আধার নিয়ে যে সমস্যার সম্মুখীন আমাদের হতে হয়েছে, সেটাই বোঝাতে চেয়েছি” ।
* মাত্র ২০০ টাকায় অনলাইনে মিলছে পুজোর VIP পাস, জেনে নিন কোথায়
গতকাল পরিমল পালের ভাবনায় সেজে ওঠা সেই বাদামতলা আষাঢ় সঙ্ঘের পুজো উদ্বোধন করে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী পরিমলের বানানো প্রতিমার ভূয়সী প্রশংসাও করেন।
নিজের শিল্পকর্ম নিয়ে পরিমল পাল বলছেন, “শিল্প রসে যে যেটুকু নিয়ে থাকতে ভালবাসে তিনি সেটা নিয়েই থাকেন। কেউ রঙ ভালবাসেন, কেউ আলো কেউ কেউ সৃজনশীল কাঠামো। আমারও নিজস্ব ভাবনা রয়েছে। সেটা দিয়েই এতদিন কাজ করছি, আগামীতেও করব”।