পার্কস্ট্রিট কাণ্ড 'সাজানো নয়', রুদ্ধদ্বার রায়ে তিন বছর দশ মাসের লড়াই জিতল সুজেট
খারিজ হয়ে গেল সাজানো ঘটনার তত্ব। আদালতে প্রমাণ হয়ে গেল পার্ক স্টিটে গণধর্ষণই হয়েছিল। প্রমাণ হল, নির্যাতিতার দাবিই সত্যি । গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হল নাসের খান, সুমিত বাজাজ , রুমান খান। রায় দিতে গিয়ে নির্যাতিতার বয়ানকেই সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিলেন বিচারক।
ওয়েব ডেস্ক: খারিজ হয়ে গেল সাজানো ঘটনার তত্ব। আদালতে প্রমাণ হয়ে গেল পার্ক স্টিটে গণধর্ষণই হয়েছিল। প্রমাণ হল, নির্যাতিতার দাবিই সত্যি । গণধর্ষণে দোষী সাব্যস্ত হল নাসের খান, সুমিত বাজাজ , রুমান খান। রায় দিতে গিয়ে নির্যাতিতার বয়ানকেই সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিলেন বিচারক।
তিন বছর দশ মাসের লড়াই। অবশেষে মিলল ন্যায়। আদালতে প্রমাণ হয়ে গেল ২০১২, ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে গণধর্ষই হয়েছিল পার্কস্ট্রিটে। রুদ্ধদ্বার রায় ঘোষণা।
নাসের খান, সুমিত বাজাজ, রুমান খান আদালতের রায় শুনে তিন দোষীই একেবারে চুপ ।
আদালতে, তিন জনের বিরুদ্ধেই গণধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। একইসঙ্গে ষড়যন্ত্র, ভয় দেখানো, মারধরের অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে রুমান এবং নাসেরের বিরুদ্ধে। মেয়ে আজ আর বেঁচে নেই। তবু ন্যায় মিলেছে। খুশি নির্যাতিতার পরিবার।
নির্যাতিতার বয়ানেই সর্বাধিক গুরুত্ব। ধর্ষণের মামলার ক্ষেত্রে নির্যাতিতার বয়ানকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট । পার্ক স্ট্রিট গাণধর্ষণ মামলার রায় দিতে গিয়ে শীর্ষ আদালতের দেখানো পথেই হাঁটলেন বিচারক সঞ্জীব ভট্টাচার্য। মেডিক্যাল রিপোর্ট, সিসিটিভি ফুটেজ, মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন নয়, বিচারক সবথেকে বেশি ভরসা করলেন নির্যাতিতার জবানবন্দিতেই।
সাজানো ঘটনা। মিথ্যে অভিযোগ। পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণের অভিযোগকে এভাবেই কটাক্ষ করে ছিল প্রশাসন। বৃহস্পতিবার সেই নির্যাতিতার জবানবন্দির উপর ভরসা করেই মিলল ন্যায় বিচার।