Partha Chatterjee: 'ভারতের আর একটা দল দেখাও যাঁদের লোক গ্রেফতার হয়ে আছে আর তারা কিছু বলছে না'!
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের জামিন খারিজ। 'আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করব, নির্দোষ প্রমাণিত করতে গেলে যে সুযোগ দরকার, আমি সেটা চাই', বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
পিয়ালী মিত্র: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের জামিনের আবেদন খারিজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে এবার নির্দোষ প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়ার আর্জি জানালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁর আক্ষেপ, 'ভারতের আর একটা দল দেখাও যাঁদের লোক গ্রেফতার হয়ে আছে আর তারা কিছু বলছে না। এক বছর হয়ে গেল আমি জেলের ভিতরে আছি। আর বেরোতে পারব কিনা জানি না। বিচারের নামে প্রমাণ ছাড়া যা খুশি তাই বলছে। আর সবাই সেটাই সত্যি বলে মেনে নিচ্ছে। কেউ কোনো কথা বলছে না'।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: পুলিসে ২৫০০ পদে নিয়োগ, হেলথ অফিসারও নেবে রাজ্য
বছর ঘুরে গেল! গত বছর ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পরের দিন, ২৩ জুলাই গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীকে। মুক্তি পাননি এখনও। জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে বারবার। ব্যতিক্রম ঘটল না এবারও।
এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ ৭ অভিযুক্তকে পেশ করা হয় আদালতে। জামিনের আবেদন খারিজ করে, তাঁদের ৭ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। কেন? আদালত থেকে ফেরার পথে পার্থ বলেন, 'আমি দলের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। অবিলম্বে জেল থেকে বেরোই। আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করব, নির্দোষ প্রমাণিত করতে গেলে যে সুযোগ দরকার, আমি সেটা চাই'।
প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, 'আমি নির্দোষ, নির্দোষ, নির্দোষ। আমি নিয়োগকর্তা নই। আমি সুপারিশ কর্তা নই। আমি কোনও ব্যাপারের সঙ্গে ছিলাম না'। সিবিআই তো বলছে আপনি সবেতেই আছে? তিনি বলেন, 'কে কী বলছে, আমার জানার দরকার নেই। অনেকে অনেক কথা বলে। অনেক কথা বলেই একদিন এক থেকে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। এটা ভুলে গেলে চলবে না'।
এদিকে আরও একটি একুশের জুলাইয়ের সমাবেশ হয়ে গেল ধর্মতলায়। অথচ মঞ্চে দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামও নিলেন না কেউ! ঘনিষ্ট মহলে রীতিমতো আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। বলেন, 'আমি খুশিই হয়েছি। যা খুশি বলে দিলে আমারই সমস্যা হত। যখন দলের ২০০ জন লোক নিয়ে একুশে জুলাইয়ের সমাবেশ হত, আমি করতাম। চাকরি ছেড়ে এসেছিলাম। এখন দল বড় হয়েছে, ক্ষমতায় আছে। দলের অনেক টাকা পয়সা হয়েছে। এখন আর আমার দরকার কী! মনে আছে রুটি সংগ্রহ করে একুশের সমাবেশ করতাম। অন্য কারও কি মনে আছে'?
আরও পড়ুন: Dengue: ডেঙ্গি আক্রান্তকে কখন দিতে হবে প্লেটলেট? গাইডলাইন জারি স্বাস্থ্যভবনের
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'অত্যন্ত অর্থবহ, ইঙ্গিতপূর্ণ। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কী বার্তা দিতে চাইছেন? তিনি মন্ত্রী ছিলেন। সুপারিশও হয়েছে, নিয়োগও হয়েছে। তাঁর অধীন হয়েছে। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী যদি তাঁকে নির্দোষ প্রমাণ করার ব্যবস্থা করে দেন, তাহলে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলতে চাইছেন, প্রকৃত সিদ্ধান্ত কারা নিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের চিহ্নিত করুন। প্রকৃত তথ্য মুখ্যমন্ত্রীই সামনে নিয়ে আসুন'।