সম্ভবত সোমবার শারীরিক পরীক্ষা পিঙ্কির
পিঙ্কি প্রামাণিকের লিঙ্গ নির্ধারণ প্রক্রিয়া ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ায় এবার ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করল এসএসকেএম হাসপাতাল। এই চিকিত্সকদের উপস্থিতিতেই শারীরিক পরীক্ষা হবে জাতীয় স্তরের এই প্রাক্তন অ্যাথলিটের। তারপরেই চূড়ান্ত ভাবে জানা যাবে পিঙ্কি পুরুষ না মহিলা।
পিঙ্কি প্রামাণিকের লিঙ্গ নির্ধারণ প্রক্রিয়া ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ায় এবার ১১ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করল এসএসকেএম হাসপাতাল। এই চিকিত্সকদের উপস্থিতিতেই শারীরিক পরীক্ষা হবে জাতীয় স্তরের এই প্রাক্তন অ্যাথলিটের। তারপরেই চূড়ান্ত ভাবে জানা যাবে পিঙ্কি পুরুষ না মহিলা।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে একাধিক পদকজয়ী পিঙ্কি প্রামাণিকের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ ওঠায় তাঁর শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশ সংক্রান্ত চিঠি বুধবার এসএসকেএমে এসে পৌঁছনোর পর ১১ সদস্যের বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মেডিক্যাল বোর্ডে রয়েছেন সাতটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানরা। সঙ্গে থাকছেন অ্যানাটমি বিভাগের একজন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক। এছাড়াও একজন সাইক্রিয়াটিস্ট, রেডিওলজিস্ট ও প্যাথোলজিস্টকেও রাখা হয়েছে মেডিক্যাল বোর্ডে। আগামি সোমবার এই পরীক্ষা করা যেতে পারে বলে হাসপাতালের তরফ থেকে জানানো হয়েছে আদালতকে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গত মঙ্গলবার বারাসত জেলা হাসপাতালে ৭ জন চিকিত্সক প্রাক্তন অ্যাথলিটের শারীরিক পরীক্ষা করেন। প্রায় ৩ ঘণ্টার পরীক্ষার পরও পিঙ্কি প্রামাণিকের লিঙ্গ নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি মেডিক্যাল বোর্ড। বারাসত হাসপাতালে পরিকাঠামো না-থাকায় হরমোন ও ক্রোমোজোম পরীক্ষার জন্য তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে রেফার করা হয়। তারপরই রাজ্যের একমাত্র সুপার স্পেশ্যালিটি সরকারি হাসপাতালে পিঙ্কির শারীরিক পরীক্ষার নির্দেশ দেয় আদালত।
গত ১৪ জুন পিঙ্কি প্রামাণিকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস এবং ধর্ষণের অভিযোগ করেন ওই মহিলা। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে সেদিনই রাতে পিঙ্কিকে গ্রেফতার করে পুলিস। থানায় পিঙ্কি হঠাত্ অসুস্থ বোধ করলে একটি বেসরকারি হাসপাতালে পিঙ্কির পরীক্ষা হয়। বেসরকারি হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, পিঙ্কি আসলে পুরুষ। এরপরই শুক্রবার পিঙ্কিকে বারাসত আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই সময়ের মধ্যে সিএমওএইচের নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে পিঙ্কির মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতেও নির্দেশ দেয় আদালত। প্রাথমিক ভাবে সরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ডের সামনে পরীক্ষায় আপত্তি জানালেও শেষ পর্যন্ত সম্মত হন পিঙ্কি।
মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশ্ন ওঠে এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন আন্তর্জানিক স্তরের প্রতিযোগিতার শারীরিক পরীক্ষায় কীভাবে উতরে যেতেন পিঙ্কি? সে প্রশ্নের উত্তরে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পিঙ্কি টাকা দিয়ে মেডিক্যাল পরীক্ষা `সামলে` নিতেন বলেন চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন তেঘরিয়ার বাসিন্দা এক মহিলা।