বকেয়া বেতন উসুল করতেই ‘অপারেশন’, সল্টলেকের কফি শপে ডাকাতিতে ধৃত প্রাক্তন কর্মী
২৯ অক্টোবর সাত সকালে সল্টলেকের এডি ব্লকে নামকরা কফি শপে ডাকাতির ঘটনার কিনারা করল পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অবশেষে ধরপাকড়। গাইঘাটার চাঁদপাড়া থেকে গ্রেফতার তিন। পাকড়াও শঙ্কর দাস, বিল্টু সরকার, সুজিত রায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৯ অক্টোবর সাত সকালে সল্টলেকের এডি ব্লকে নামকরা কফি শপে ডাকাতির ঘটনার কিনারা করল পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অবশেষে ধরপাকড়। গাইঘাটার চাঁদপাড়া থেকে গ্রেফতার তিন। পাকড়াও শঙ্কর দাস, বিল্টু সরকার, সুজিত রায়।
আরও পড়ুন: “ধর্ষণে অভিযুক্তদের থেকেও ঘৃণ্য অপরাধ করেছে পুলিস”, ভর্তসনা হাইকোর্টের
প্রাথমিকভাবে পুলিস মনে করছে, ধৃতরা কেউই পাকা অপরাধী নয়। অভিযুক্তদের সকলের বয়সই উনিশ থেকে কুড়ির মধ্যে। ধৃত শঙ্কর দাস কফি শপেরই প্রাক্তন কর্মী। মাস চারেক আগেই চাকরি ছাড়েন তিনি। তবে এরপরও বকেয়া ছিল দেড়মাসের মাইনে। সেই আক্রোশেই হামলা কিনা খতিয়ে দেখছে বিধাননগর উত্তর থানা এবং বিধাননগর গোয়েন্দা বিভাগ।
আরও পড়ুন: থানায় নিয়ে গিয়ে উলঙ্গ করে বিচুটি ঘষে ছবি তোলার অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে, তোলপাড় খণ্ডঘোষ
জেরায় পুলিস জানতে পেরেছে সকালে দোকানে ভিড় কম থাকার কথা মাথায় রেখেই রীতিমতো ছক কষে হামলা । নাটের গুরু শঙ্করই। প্রথমে দোকানে ঢুকে কর্মীকে বেঁদে ফেলে বাকি দুই সাগরেদ। পরে শঙ্কর দোকানে ঢুকে লুঠপাট চালায়। ধৃতদের থেকে লুঠপাটের সময় পরিহিতপোশাকআশাক এবং ব্যাগও উদ্ধার হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে মোবাইল।
প্রসঙ্গত, গত ২৯ অক্টোবর সল্টলেকের এডি ব্লকের কফি শপে হঠাতই ঢুকে পড়ে ৪ দুষ্কৃতী। তখন সবে ক্যাশ কাউন্টার খুলছিলেন এক কর্মী। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর হাত-মুখ বেঁধে ফেলে দুষ্কৃতীরা। বন্দুক দেখিয়ে চলে লুঠপাট। তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ-ই পুলিসের একমাত্র ভরসা। আর তাতেই দেখা যাচ্ছে দুই যুবককে। চার দুষ্কৃতীর দলের অন্তর্ভুক্ত এই দুজন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিস। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ৩ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। ফুটেজে যে দুজনকে দেখা যাচ্ছে, তাদের চিনতে পেরেছিলেন কফি শপের কর্মীও।