ময়নাতদন্তে সৌরভের দেহে তিনধরনের আঘাতের চিহ্ন মিলল
ময়না তদন্ত নিয়ে দিনভর টানাপোড়েনের পর রাত আটটায় বামুনগাছির কুলবেড়িয়ায় পৌছল সৌরভ চৌধুরীর দেহ। ময়না তদন্তে সৌরভ চৌধুরীর দেহে তিন ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রথমে ধারাল অস্ত্রের আঘাত।
ময়না তদন্ত নিয়ে দিনভর টানাপোড়েনের পর রাত আটটায় বামুনগাছির কুলবেড়িয়ায় পৌছল সৌরভ চৌধুরীর দেহ। ময়না তদন্তে সৌরভ চৌধুরীর দেহে তিন ধরনের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রথমে ধারাল অস্ত্রের আঘাত। তারপর রেলে কাটা পড়ার চিহ্ন। তারপর ফের ভোঁতা ও ভারী অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন ধারাল অস্ত্রের আঘাত অপেক্ষাকৃত পুরনো। তারপর সৌরভকে ফেলা হয় রেললাইনে।
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর ওপর বিশ্বাস নেই। তাই তাঁর পুলিসে ভরসা না রেখে অভিযুক্তকে খুঁজে বের করতে পথে নামলেন বামনগাছির বাসিন্দারা। প্রতিবাদী ছাত্র সৌরভ চৌধুরী হত্যায় মূল অভিযুক্ত শ্যামল কর্মকারের খোঁজে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালালেন তাঁরা। দাবি উঠল সিবিআই তদন্তের।
শনিবার সকাল ছটায় রেললাইনের ধারে উদ্ধার হয়েছিল সৌরভ চৌধুরীর খণ্ডবিখণ্ড দেহ। তারপরেও দিনভর কার্যত প্রকাশ্যেই এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছে মূল অভিযুক্ত শ্যামল ও তার সহযোগীরা।
পুলিস যখন নিষ্ক্রিয় তখন স্থানীয় মানুষরাই পুলিসের হাতে তুলে দিলেন শ্যামলের শাগরেদ অনুপ তালুকদারকে। তারপরেও ঘুম ভাঙেনি প্রশাসনের। অপরাধীদের খুঁজে বের করতে তাই পথে নামতে হল জনতাকেই।
পুলিসের সাফাই ছবি নেই, তাই ধরা যাচ্ছে না শ্যামলকে। এলাকাবাসীই জোগাড় করলেন শ্যামলের ছবি। তারপর সেই ছবি নিয়ে শুরু হল তল্লাসি। প্রথমেই অভিযান চালানো হল, চৌমাথা এলাকায় শ্যামলের দিদি পলি মাইতির বাড়িতে। এরপর রামকৃষ্ণপল্লিতে শ্যামলের দাদার বাড়ি।
প্রশাসনে আস্থা হারিয়ে, সৌরভ হত্যায় সিবিআই তদন্ত দাবি করল নিহতের পরিবার। অপরাধী ধরতে ব্যর্থ হলেও, রবিবার দিনভর সক্রিয় রইল পুলিস। যশোর রোডে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা চালিয়ে গেলেন শান্তিরক্ষকরা।