নজরদারির আলুতে থাকছে না বাছাইয়ের সুযোগ, পচা আলু কিনতে বাধ্য হচ্ছেন ক্রেতারা

আলুর জন্য হাহাকার রাজ্যজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী আলুর দাম বেঁধে দেবার পর টাস্ক ফোর্সের নজরদারিতে ১৩ টাকা কেজি দরেই আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা। কিন্তু ১৩ টাকা কেজি দরে আলু কিনলে থাকছে না কোনও বাছাইয়ের সুযোগ।

Updated By: Nov 9, 2013, 11:42 AM IST

আলুর জন্য হাহাকার রাজ্যজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রী আলুর দাম বেঁধে দেবার পর টাস্ক ফোর্সের নজরদারিতে ১৩ টাকা কেজি দরেই আলু বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন বিক্রেতারা। কিন্তু ১৩ টাকা কেজি দরে আলু কিনলে থাকছে না কোনও বাছাইয়ের সুযোগ।
এক কিলো আলু কিনলে দেখা যাচ্ছে তাতে প্রায় ৫০০ থেকে ৭০০ গ্রামই বেরোচ্ছে পচা। ফলে সমস্যায় পড়ছেন ক্রেতারা। হিসেব মত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে এক কিলো আলুর দাম দাঁড়াচ্ছে প্রায় ২৫ থেকে ২৬ টাকা।
রাজ্য সরকার ভিন রাজ্যে আলু নিয়ে যাওয়ার উপরে আপাতত নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে। তাতে কেন্দ্রে সরকারও সমর্থন জানিয়েছে বলে খবর।
সরকার আলুর দাম ১৩ টাকা কেজি বেঁধে দিয়েছে। ওই দামে আলু বিক্রি করতে হলে ব্যাপক লোকসানের মুখে পড়বেন বলে দাবি বিক্রেতাদের। ফলে বেশিরভাগ বিক্রেতাই দোকান বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছেন। সরকারের নির্ধারিত ১৩ টাকা দামে সামান্য কিছু আলু বাজারে আসছে। যদিও তা আলুর বিপুল চাহিদার নামমাত্রই মেটাতে পারছে। ১৩ টাকার সেই আলু মানও খুব খারাপ বলে অভিযোগ করছেন ক্রেতারা। আলু-সঙ্কটের সঙ্গেই লাফিয়ে বেড়েছে অন্যান্য শাক-সবজির দামও।
চড়া দামে আলু বিক্রিকে কেন্দ্র করে গতকাল উত্তেজনা ছড়ায় উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায়। অভিযোগ, প্রতি কেজি আলু ২০ টাকার বেশি দরে বিক্রি করছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রতিবাদ করায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে হাতাহাতি শুরু হয় খুচরো ব্যবসায়ীদের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিস। পরে দাম কমিয়ে আলু বিক্রি করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
মালদার বাজারেও আলুর আকাল দেখা গিয়েছিল গতকাল। ক্রেতাদের অভিযোগ, সরকারি দামে পাওয়া যাচ্ছে পচা আলু। ভাল আলু কিনতে গেলেই দাম পড়ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকা কেজি। প্রশাসনের নাগের ডগায় এভাবে বেশি দামে আলু বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। ক্রেতাদের বক্তব্য, সবকিছু দেখেশুনেও উদাসীন প্রশাসনিক কর্তারা।
অন্যদিকে, গতকাল পূর্ব মেদিনীপুর-ওড়িশা সীমানায় পাচার হওয়ার পথে সাত ট্রাক আলু আটক হয়েছে। যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে দীঘা-রামনগর থানার পুলিস তা আটক করে। এই একশো বারো টন আলু এরপর স্থানীয় বাজারে সরকার নির্ধারিত তেরো টাকা কেজি দরে বিক্রি করে দেওয়া হয়। ঝাড়খণ্ড পাচার হওয়ার পথে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার পুলিসও পাঁচ ট্রাক আলু আটক করা হয়েছিল।

.